নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাট থাকছে স্তরে
স্তরে। ফলে বাড়বে দ্রব্যমূল্য বাড়বে চাপ। অসহায় হয়ে পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত
শ্রেণীর মানুষেরা। মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা মাঝারী ও নতুন ব্যবসায়ী বা
উদ্যোগতারা। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এই ভ্যাটে ভোট হারাতে পারে বর্তমান ক্ষমতায়
থাকা সরকারী দল আওয়ামীলীগ। ভ্যাটের এই আইনে বলা হচ্ছে প্রায় সব পন্যের উপর ঢলাও
ভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা হবে এমন কি জীবন রক্ষাকারী ঔষধেও থাকছে ভ্যাট।
অনেকেই বলছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত
কোন রাজনীতিবিদ নন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন আমলা, পরে বিশ্বব্যাংক সহ বহুজাতিক
সংস্থাগুলোতে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। আর ভোটের হিসাব মাথায় রেখে যে নতুন ভ্যাট আইন
করা হয়নি তা হাড়ে হাড়েই বুঝছেন বাণিজ্যমন্ত্রী কিন্তু বুঝাতে পারছেন না
অর্থমন্ত্রীকে।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান,
নতুন আইনে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী স্তর এবং পণ্য ও সেবার ওপরও ভ্যাট বসানো হয়েছে।
তাছাড়া অস্থাবর সম্পত্তি, গ্রান্ট, লাইসেন্স, পারমিট, লিজ, অধিকার, সুযোগ সুবিধাকেও
ভ্যাটের আওতায় আনা হয়েছে।
বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা
কালের কণ্ঠকে বলেন, নতুন আইনে উৎপাদন থেকে বিপণনের প্রতিটি স্তরে ভ্যাট বসবে। বিদ্যুৎ
বিল ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ ফলে পন্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে, প্রতিষ্ঠান
মুনাফা ঠিক রাখতে পন্যের দাম বাড়াবে। আবার পরিবহন ভাড়ার ওপর ভ্যাট বসবে। বারতি
ভাড়া যোগ হবে পন্যের মুল্যে। ডিলারের কমিশনের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ ফলে কমিশন বাড়িয়ে
পণ্যমুল্য ধরা হবে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি অর্থ দিয়ে পণ্য কিনে বাড়তি দামেই বিক্রি
করবেন।
অর্থাৎ প্রতি স্তরে ভ্যাট আর এর চাপ পুরটাই পড়বে ক্রেতার ওপরে।
সরকার আমাদের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে
সেই টাকা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলকে। আর ব্যাংকগুলো শুন্য করে যারা ঋণখেলাপি
হয়ে আছে কিংবা পাচার হয়ে যাচ্ছে সেগুলো আদায়ের তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ
বলেন, ইউরোপে ভোক্তার ওপর সর্বোচ্চ ০.৮
শতাংশ হারে ভ্যাটের চাপ পড়ে বাকিটা উৎপাদনকারী বা ব্যবসায়ী দেয়। আমাদের দেশের
ভ্যাটের পুরোটায় নেওয়া হয় ক্রেতার কাছ থেকে অথচ এটি বিক্রেতা বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের
বহন করার কথা। এমন কি হাইকোর্ট, রোগীদের থেকে না নিয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিক
কত্রিপক্ষের আয় থেকে ভ্যাট পরিশোধের রায় দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।