সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইউনিট প্রতি ৩৫পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত



বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে বরং বাড়ানো শুরুর প্রক্রিয়াকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি দলটির দাবি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এখন লুটেরখাত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষনেতাদের আত্মীয় স্বজনদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে
গ্রাহকপর্যায়ে ইউনিট প্রতি ৩৫পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পাইকারিতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সারে ১৪শতাংশ  বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার ০৬/০৯/১৭ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুলকবির রিজভী এই দাবি করেন রিজভী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানিতেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে জ্বালানিতেলের দাম অতিশয় চড়া,  এর ওপর আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জিরেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি (ফার্নেস) তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হলে খরচ আরও কমবে কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা নজির বিহীন গণবিরোধী।
রিজভী দাবি করেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির মূলকারণ হচ্ছে কুইকরেন্টলের বিদ্যুৎ। এসব প্রকল্পের পেছনে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষনেতাদের আত্মীয়স্বজন। তাঁদের লুটপাটের আরও বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট আয়ও পেশার মানুষের কষ্ট ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যয়ভার স্ফীত করার মাধ্যমে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। কৃষিখাতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী পুলিশ বাধা দিয়েছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন