অবশেষে-!---------------------------------------------
যাইরে দোস্তো গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে। আচ্ছা শোন
প্রায় ছয় বছর পর সিলেট যাচ্ছিস, সাধানে থাকিশ কি হচ্ছে না হচ্ছে জানাস। আর শোন ছয়
বছর কিন্তু কম সময় না এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে সে গুলো মেনে নেওয়ার মত মন-মানশিক
প্রস্তুত রাখতে হবে সব সময় সো সাবধানে দোস্তো। তা তো বটেই দোস্তো। দোয়া করিশ। গাড়ি গরতে শুরু করেছে।
দোস্তো শোন, ততোক্ষণে
গাড়ি টান শুরু করেছে কি যে বলল ঠিক বুঝতে পারলনা ঠিক শুনতে পারেনি রাহাত। কানে হাত
দিয়ে শুনার চেষ্টা করল কিন্তু বুঝতে পারলনা। তার পরো হাত নেরে কি যে বুঝালেন শুনতে
পারেনি না কি বায় জানালেন সেটাও ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে আমিও হাত নেরে বায়
জানালাম।
সি এন জি থেকে নেমে ভারা দিলেন, রাহাত
পাশের গেটি গিয়ে বল্লেন এটাকি জালাল সাহেবের বাসা।
দারোয়ান- না স্যার এখানে জালাল সাহেব
নামের কেও থাকেনা।
রাহাত- থাকেনা, কিন্তু ঠিকানা তো এটায়।
দারোয়ান- দেখি, বলে ঠিকানাটা দেখলেন। দেখে বল্লেন ঠিকানা তো
ঠিক আছে স্যার কিন্তু এখানে এ নামের কেউ থাকে না স্যার।
রাহাত- মীযান সাহেব আপনি এখানে কতদিন ধরে
আছেন।
দারোয়ান- খুশিতে গুল্গুল্লাহ এতো স্মমান
দিয়ে তার সাথে কেউ কথা বলেনা। এই প্রথম তার নামের সাথে কেউ সাহেব যোগ করলেন। মীযান
সাহেব।
রাহাত- মীযান সাহেব কোন সমস্যা।
দারোয়ান- না স্যার কোন সমস্যা না। আমি এই
খানে নতুন। এক মাস পার হয়েছে।
রাহাত – আপনার আগে যিনি এখানে ছিলেন তিনি
কতদিন এখানে ছিলেন। আচ্ছা তিনি এখন কোথায় চাকরি করেন সেটা বলেন।
দারোয়ান- স্যার রহমান ভাই এখনে বছর খানেক
ছিলেন। তারপর তিনি রহমান যে বাড়িতে কাজ করে সেখানকার ঠিকানাটা লিখে দিলেন।
রাহাত তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রহমানের
খোঁজে ছুটলেন। খানিক বাদে পিয়েও গেলেন সেই ঠিকানা। গেটের সামনে গিয়ে রহমান সাহেব
কে ডাকতে থাকেন। ভেতর থেকে একজন বেরিয়ে আসলেন। জি বলুন, কাকে চাচ্ছেন।
রাহাত- তার নেমপ্লেট দেখে একটু মলিন হলেন,
সেখানে অন্য নাম লিখা, এখানে রহমান সাহেব চাকরি করেন।
ফারুক- না স্যার, রহমান ভাই তো চাকরি ছেড়ে
দিয়েছেন।
রাহাত- ও, ছেড়ে দিয়েছেন। একটু পরে বল্লেন রহমান সাহেবকে
কোথায় পাওয়া যাবে।
ফারুক- স্যার আমি তো ঠিক বলতে পারবোনা।
রাহাত মন খারাপ করে হাটা শুরু করলো। মনে
মনে ভাবতে থাকে আশার প্রদিপ কি নিভে যাচ্ছে। কোনদিন কি আর দেখা হবেনা, কিছুক্ষণ পর
রাহাত বুঝতে পারে পিছন থেকে কেও তাকে ডাকছে। পেছন ফিরে দেখলেন ফারুক তার পেছনে। আমাকে
ডাকছেন।
ফারুক- একটা কাগজ বের করে দিলেন, স্যার এই
ঠিকানায় যান রহমান ভাইকে পেলেও পেতে পারেন।
রাহাত তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলেন।
রিক্সাওয়ালা কে ভারা দিয়ে গেটে অনেকক্ষন নক করলেন, কোন সারা না পেয়ে বারিটার দিকে চেয়ে দেখলেন বেশ পুরান
একটা বাড়ি, শেওলা ধরেছে দেয়ালে দু-চারটি চারাগাছ ও দেখা যাচ্ছে ওয়ালে লতা-পাতা
বেয়ে উঠেছে জানালা গাছ গুলো আর গাছ নেই জঙ্গলে পরিণত হয়েছে পাতায় ভরে গেছে চলার
রাস্তাটা সব মিলে এক ভুতুরে পরিবেশ। গেটের ফাকা দিয়ে যতদূর চোখ যাচ্ছে দেখে নিচ্ছে
রাহাত। এখানে কেউ থাকে বলেত মনে হচ্ছেনা। ফারুক আমাকে এ কোথাকার ঠিকানা দিল। এতো একটা ভুতুরে বাড়ি।
পেছন থেকে কেউ একজন
তার ঘাড়ে হাত রাখতেয় চমকে উঠে ঘুরে দারাতেয় ছোট গেঁটটাতে পীঠ লেগে গেটটা খুলে যায়
আর রাহাত লুটে পরে। স্যার মনে হয় ভয় পাইছেন, আমি ভুত না স্যার আমি মানুষ, রক্তে মাংসের মানুষ স্যার। বাড়ির মালিক পরিবার সহ
আমরিকায় থাকে। তাঁরা আসেওনা এইখানে কেউ থাকে না। আমি একায় থাকি
স্যার। আমার নাম রহমান স্যার, উঠেন স্যার উঠেন। স্যার কি ব্যাথা পায়ছেন। স্যার, কি
কেউরে বিচরায়তেছিলেন।
রাহাত- জি আপনি ভুত হবেন কেন, বলে মনে মনে
বলতে থাকে শালা ভুতের মতো চেহারা বানায় রাখছে কি অবস্থা আবার বলে আমি ভুত না।
রহমান- স্যার ও স্যার কি ভাবেন।
রাহাত- না কিছু না। আমি আপনাকেই খুঁজছিলাম।
রহমান- আমাকে, আমাকে কেন স্যার।
রাহাত- আপনি জালাল সাহেব কে চিনেন।
রহমান- কোন জালাল, জীবনে মেলা গুলো দরজা
বদলায়ছি স্যার জালাল সাহেবতো অনেক গুলো আপনি কোন জালাল সাহেবের কথা বলছেন।
রাহাত- বাসানং ৯ রোডনং ১ অমুক রোড এই
ঠিকানা।
রহমান- অনেকদিন আগের কথা ঠিক মনে করতে
পারছিনা। যতদূর মনে পরছে তিনারাতো ঐ বাসা অনেক দিন আগে বদলিয়েছে। তিনারাত ঐ বাসায়
থাকেন না।
রাহাত- জি চাচা আমি জানি জালাল সাহেব ঐ
বাসায় থাকেন না। কিন্তু বাসা বদলিয়ে কোথায় গেছেন সেটাতো আপনি জানেন।
রহমান- অনেকদিন আগের কথা অত কি আর মনে আছে
বাবা।
রাহাত নিঃস্ব হয়ে বসে পড়লো মাটিতে। তাহলে
কি আর......
রহমান- ঐ বাড়ির যে মেড্যাম আপা ছিল খুব
সুন্দর করে, ঐ মেড্যাম আপা একটা কাগজ দিয়ে গেছেন আমাকে। রাহাত শুনতেই কোন কাগজ
কোথায় সে কাগজ তারাতারি বলেন। আরে থাম খুজতে তো দেবে আজকের তো আর না কতগুলো দিন
আগের কাগজ বলতো বাবা খুজতেতো হবে। সে তার বাক্সটা বের করল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক
পুরনা বাক্স কথাও রঙ আছে তো কথাও নেই। জং ও ধরেছে অনেক জাগায়। সে বাক্সটা খুল্ল। অনেক গুলো কাগজের মধ্যে
থেকে একটা কাগজ বের করে আনল। স্যার ও স্যার পাইছি স্যার এই নেন স্যার। রাহাত কাগজ টি নিয়ে
দেখল ওখানে একটা ঠিকানা লিখা আছে। সে আর দেরি করলনা। রহমান কে সালাম দিয়ে বিদায়
জানালো রাহাত। রাহাত এবার নতুন ঠিকানা মতো জালাল সাহেবে খোঁজে ছুটলেন। কাগজে লিখা
ঠিকানা বেশ দুরের একটা ঠিকানা যেতে ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় লাহবে। রাহাত সময় নষ্ট
করতে চায়লনা তাই বাসের জন্য অপেক্ষা না করে একটা পিকাপে উঠে বসলেন। গন্তব্যে
পউছাতে পউছাতে বিকাল পেরিয়ে গেলো রাহাতের সন্ধ্যা আসার জন্য হাত ছানি দিলেও বিকেল
জাবার জন্য অস্থির নয়। পিকাপ থেকে নেমে একটা রিক্সায় উঠলো রাহাত। রিক্সায় বসে
রাস্তার দুপাশে থাকা বাড়ি নাম্বার মিলাছে ...... এই থামেন থামেন। এই বাসাটায়তো,
রিক্সাওয়ালাকে বিদায় করে গেটের ভিতরে ঢুকলেন রাহাত। এইযে কে আপনি বাড়ির ভিতরে এভাবে চলে আসছেন যে, কাকে চান। রাহাত উপরে তাকালেন দেখলেন একটা মেয়ে। মেয়ে টি আমার হাত নেরে বলল হু কি
চায়।
রাহাত- আমি রাহাত বলতেয়, মেয়েটি বলে আরে
ভাই আপনি রাহার হন আর বাহাত হন কার কাছে এসেছেন কাকে চাচ্ছেন সেটাত বলেন। জি আমি
জালাল সাহেব কে চাচ্ছিলাম। উনি কে আছেন বাসায়। জি না এখানে জালাল দালাল নামের কেউ
থাকেনা, আপনি যেতে পারেন। এর পর মেয়েটি গেট ম্যানের নাম ধরে ডাকতে থাকে আব্দুল
চাচা আব্দুল চাচা, জি আপামনি বলতেই আব্দুল বেরিয়ে আসে। মেয়েটি বলে কোথায় থাকন চাচা
লোকটি কে বিদায় করেন।
আব্দুল- স্যার কাকে চান আপনি, এ ভাবে ঢুকে
পরেছেন আমাদের তো ..... আর বলতে পারে না আব্দুল।
রাহাত- চাচা এখানে জালাল সাহেব নামে একজন
থাকতেন।
আব্দুল- জি জালাল সাহেব তো বাসা
বদলায়েছেন।
রাহাত- এখন কোথায় থাকে বলতে পারবেন।
আব্দুল- একটা ঠিকানা বলে।
রাহাত বিদায় নিয়ে চলে নতুন ঠিকানায়, এ
ভাবে আরও দুটো ঠিকানা বদলাতে হয় তাকে। অবশেষে রাহাত খুঁজে পেল জালাল সাহেবের বাসা। এর মধ্যেয় সন্ধ্যা পেরিয়ে আঁধার নেমেছে। সাদা মেঘ গুলো এখন আর
আকাশে নেই। দুরন্ত বাতাস ও গেছে থেমে। ঘেমে আসছে রাহাতের মুখ। স্তব্দ হয়ে যাচ্ছে
তার পৃথিবী। তার জীবনের রঙ গুলো মলিন হয়ে যাচ্ছে সাজানো বাড়ির আলোয়। মরিচ বাতির আলোয় ঝলমল করছে পুরো বাড়ি, মস্তবরো আর সুন্দর একটা গেট
সাজানো হয়েছে গেটের সামনে, পুরো বাসাটা আজ সেজেছে নতুন সাঁজে। রাহাত গেটে একজন কে
ডেকে বলল ভাই এটা কি জালাল সাহেবের বাসা। তিনি বল্লল জি এটা জালাল সাহেবের বাসা।
আজ উনার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। আচ্ছা ভাই আমি চল্লাম আপনি আসেন। মুহূর্তেই আকাশ ভেঙ্গে
পড়লো রাহাতের মাথায়। পাহাড় ফেটে চৌচির তবু ঝর্নার দেখা নেই কোথায়। সারাদিন
প্রানবন্ত হয়ে খুঁজছিলেন যাকে, তাকে পেয়েই বুঝি প্রাণ হারালো রাহাত। রিয়া ভুলে
গেলো। আমাকে দেওয়া তার সব কথা সে ভুলে গেলো। কেমন করে ভুলে যায় এরা। সব মেয়েরায় কি
এক। কেমোন করে ভুলতে পারে।
রাহাত একটা চায়ের দোকানে ঢুকে একটা ‘চা’
চাইলো। একটা ছেলে এসে বলল স্যার আপনার ‘চা’ আর কিছু দিমু স্যার। নারে আর কিছু
লাগবে না। ছেলেটা চলে যেতেয় তার হাতে লেগে টেবিলে রাখা পানির গ্লাসটা পরেগিয়ে
রাহাতের শার্ট প্যান্ট ভিজে যায় বালকটি সরি স্যার সরি স্যার বলতে থাকে ততোক্ষণে
রাহাত চলে যায় তার স্মৃতির দেশে।
হাঁ, রিয়া জালাল সাহেবের মেয়ে। জালাল সাহেব কে
খুঁজার জন্য রাহাত সিলেট আসেনি, সে এসেছে রিয়ার টানেই। রিয়ার সাথে তার সম্পর্ক হয়
প্রায় সারে ছয় বছর আগে। রিয়া যেমন মিষ্টি মেয়ে দুষ্টুমিতেও কম নয়। রিয়াদের বাড়ির
পাশের বাড়ির চিলেকোঠায় থাকতো রাহাত। রাহাতের যাওয়াআসার রাস্তা ছিল রিয়া দের বাড়ির
সামনে দিয়েই। রাহাত ঠিক ঠাক যেতে পেরেছে এমন দিন খুব কম, একে বারে মনে না পরার মত।
বিভিন্ন দিন বিভিন্ন রকম জিনিষ দিয়ে ঢিল দিত। একদিন পলি ব্যাগে পানি ভরে ঢিল দিতো,
আরেক দিন ডিম ছুরে মারত, কোন কোন দিন
পলি ব্যাগে তরকারির ময়লা, আবার কোন দিন
মশলা বাটার পানি ছুরে মারত। একদিন রাহাত রিয়া দের বাড়ি পার হচ্ছিল সে বুঝতে পারলো
আজ কোনোকিছু তার গাঁয়ে পরেনি রাহাত বারান্দায় তাকিয়ে দেখল প্রতিদিনের মত রিয়া আর ঐ
মেয়েটি দারিয়ে আছে।
রিয়া- কি উপরে কি দেখেন।
রাহাত- আজ ঢিল মারলেন না যে, ঢিল মারার
মতো কিছু নেই বুঝি।
রিয়া- দেখছ কেমন পাজি। আজকে ঢিল মারিনাই
উল্টা ফাঁপর নেই।
পাশের মেয়েটা- এই কই যাস।
রিয়া – এখানে দারায়ে দেখো, আমি কি করি
পাশের মেয়েটা- কি করবি, বেশি বারাবারি
করিশ না
রিয়া- যেতে থাকে আর বলে তুমি শুধু দেখো
আমি কি করি। রিয়া গেট খুলে বের হয়ে আসলো
রাহাত- আপনি এতক্ষণে ব্রাশ করছেন। আমি কোন ভরে ব্রাশ করেছি।
রিয়া- জি আমিও ভরে ব্রাশ করেছি।
রাহাত- তাহলে এখন।
রিয়া- এখন, বলে এমন ভাবে রাহাতের মুখে আর
গাঁয়ে পেস্ট ছিটিয়ে দিলো, দেখে মনে হচ্ছে পার্টী স্প্রে দিয়েছে। রাহাত আশপাশ তাকিয়ে দেখল তেমন কেও নেই। উপরে দেখল মেয়েটি অবাক হয়ে
তাকিয়ে আছে।।
রাহাত- হাসতে হাসতে বলল এটা কি হল।
রিয়া- তোমার জন্য আজ এটায় ছিল বলে চলে
গেলো।
রাহাত- পকেত থেকে একটা টিসু দিয়ে মুখ
মুসতে মূষতে চলে গলো।
বাপ্পা- কিরে দোস্ত পার্টি স্প্রে দিয়া
ক্যাম্পাসো আসছো কাহিনি কি কয় দেখি।
রাহাত- ঐ ব্যাটা এইটা পার্টি স্প্রে,
পার্টি স্প্রের মতো লাগতাছে তোর কাছে।
বাপ্পা- আরে দোস্ত চেতশ কেন কি হইছে খুইলা
ক, নাহইলে বুঝুম ক্যামনে। ঐ মাইয়া তরে পার্টি স্প্রে দিয়া দিছে নাকি। রাহাতের গাঁয়ের দিকে নাক
এনে গন্ধ নেওয়ার চেষ্টাকরে বাপ্পা, একটু পরে বলে দারুন সেন্টরে দোস্তো।
রাহাত একটু খেপে গিয়ে চেপে ধরে বাপ্পাকে।
ঐ মেয়ে ব্রাশ করে আমার গাঁয়ে ময়লা ফেলে আর তুমি কয় দারুন সেন্ট বারায়ছে।
বাপ্পা- আরে দোস্তো ছার কয়তাছি।
রাহাত- ক কি কবি।
বাপ্পা- ঐ মাইয়া তরে ভালোবাসে।
রাহাত- দোস্তো তোর হাতে পায়ে ধরি ইত্রামি
করিস না। ঐ মায়্যার হাত থেকে বাচার একটা উপায় বলে দে।
বাপ্পা- আই লাভ ইউ বলে দে।
রাহত- তুই কিন্তু বাচবিনা ।
বাপ্পা- আচ্ছা শোন আগে।
রাহাত- বল।
বাপ্পা- তুই যখন রিয়া কে বলবি, আমি তোমাকে
ভালোবাসি। রিয়া তোকে ভালবাসুক আর না বাসুক তোর রাস্তা থেকে সরে যাবে।
রাহাত- তুই বললি আর রিয়া সরে গেলো। পরে
যদি বলে ভালোবাসি তখন কি করবো।
বাপ্পা- তুই রিয়াকে পছন্দ করিস,
রাহাত- জানিনারে দোস্তো। ঠিক বুঝতে
পারিনা।
বাপ্পা- তাহলে হয়েছে দোস্তো তুমি তো গেছো।
রাহাত- গেছো মানে ঐ ব্যাটা, তুই আমাকে
ভাসায়তেছ না ডুবায়তেছ ওটাইতো বুঝতাছিনা।
বাপ্পা- শোন দোস্তো মন দিয়া শোন, রিয়া যদি
তোকে ভালো না বাসে, তা হলে এমন টা করতো না। তুই রিয়া কে সরাসরি বলবি আমি তোমাকে
ভালোবাসি, এ কথা শোনার পর রিয়া যদি তোকে ভালোবাসে তাহলে এ কাজ আর কখনো করবে না। আর
যদি না বাসে তাহলে তোর সামনে আর কখনো আসবেনা।
রাহাত – সত্যি। পরের দিন রাহাত রিয়া দের
গেটে না যেতেই বারান্দার দিকে তাকায়। দ্যাখে রিয়া একা দারিয়ে। রাহাত রিয়াকে ইশারা করলো।
রিয়া-
ইশারা করে বুঝাতে চায়ল কি বলেন।
রাহাত- আজ কি দেবেন।
রিয়া- দারান আন্তেছি। রিয়া গেট খুলতেই আই লাভ ইউ বলে দেয় রাহাত। রিয়া, কি বল্লেন।
রাহাত- জি, জি, তোতলাতে তোতলাতে বলে আমি
আপনাকে ভালোবাসি।
রিয়া- কোন কথা বলতে পারলনা, একদম চুপ হয়ে
গেলো। আস্তে করে গেট্টা ভিরিয়ে
দিয়ে দৌড়ধরল বাড়ির ভেতরে।
এর পর রাহাত যায় আসে যায় আসে, প্রায় ১
সপ্তাহ কেটে গেলো, রিয়ার আর দেখা পেলনা। আবর্জনা দিয়ে কেও আর তাকে ঢিল ছুরে না।
তার মনে হতে লাগলো সে তাকে খুব মিস করছে। রিয়াকে ছাড়া তার চলবে না। রিয়ার সাথে তার
দেখা করতেই হবে। একদিন রিয়াদের বাসায় ঢুকে পরে রাহাত। গেটের দারোয়ান কিছু বলেনি
চিনত আগে থেকেই তার সামনেইতো সবঘটে। ভিতরে কেউ আছেন।
রিয়া- আপনি ভিতরে আসলেন কি করে। কি চান।
রাহাত- না আমি কিছু চায় না। আপনারে সপ্তাহ
খানেক দেখিনা, তাই ভাবলাম অসুখ করেছে কি না একটু খোঁজখবর নেই এই আরকি।
রিয়া- তাই
রাহাত- জি একদম তাই, আর আপনিতো আমার
প্রতিবেশী খোঁজখবর তো নিতেই হয়। আপনি আমাকে ঢিলাবেন, প্রতিদিন ঢিলাবেন, জতবার
আপনার মনচায় আপনি ততবার ঢিলাবেন। আমি আর আপনাকে বলবনা যে আমি আপনাকে ভালোবাসি।
আপনি না ঢিলদিলে আমার খুব খারাপ লাগে। আপনাকে না দেখলে নিজেকে শুন্য মনে হয়। আমাকে
ঢিল দেওয়ার পরে আপনি যে হাশি দেন ঐ হাসি না দেখলে আমার দিন ভালো যায় না। আপনি
জানেন না, আপনার ঢিল আমার গাঁয়ে যখন লাগে ঐটার মতো মধুর সময় আমার আর নায়, আমি আর
কোন দিন বলবনা আপনাকে ভালোবাসি, বিশ্বাস করেন আর কোন দিন বলবো না। আর কিছু না বলে
বেরিয়ে আসে রাহাত।
রিয়া- রিয়া সেদিন কিছু বলেনি, বলতে চায়নি
না কি বলার মতো সুযোগ পায়নি বুঝতে পারেনি রাহাত। রাহাত অবশ্য বুঝার চেষ্টা করেনি।
তবে রিয়ার চোখে্র ভাষা হইতো পরতে পেরেছিল রাহাত আর মুখের না বলা কথাগুলো বেঁধে
নিয়েছিল তার হৃদয়ের ফ্রামে।
কদিন বাদে রাহাতের সাথে দেখা করে রিয়া।
রাহাত- বোলন কি বলবেন।
রিয়া- আমি জানিনা তুমি আমাকে কতোটুকু বা
কতখানি ভালবাসো। কিন্তু আমি
তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। রাহাত তোতলাতে তোতলাতে বলল জি জি আমিও আপনাকে অনেক
ভালবাসি রাহাত আরো কিছু বলতে যায় কিন্তু রিয়া থামিয়ে দেয়, আজ থেকে আর আপনি নয় তুমি
করেয় বোলবে।
রিয়া- আচ্ছা তুমি এখন কোন ইয়ারে, আর কতো
দিন লাগবে তোমার লিখাপরা শেষ হতে। মানে আমি জানতে চাচ্ছি সব মিলিয়ে স্টাবলিশ হতে
তোমার কতো দিন সময় লাগতে পারে।
রাহাত- অনার্সে আরও দুই বছর, মাস্টার্সে
দুই বছর আর জব এর জন্য দুই বছর। ছয় বছর।
রিয়া- ছয় বছর। ঠিক আছে আমি তোমাকে ছয় বছর
সময় দিলাম ওকে, তোমার জন্য আমি সারা জীবন অপেক্ষা করতে পারবো কিন্তু বাবা-মা কে তো
আর বসিয়ে রাখতে পারবোনা তবে আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি এই ছয় বছর আমি তোমার জন্ন্য
অপেক্ষা করবো।
রাহাত- কি বলছ ঠিক বুঝতে পারছি না।
রিয়া- আমি চাচ্ছিনা আমাদের সময় গুলো
ঘুরে-ফিরে, পার্কে বা মোবাইল ফোনে, নষ্ট করতে আর এ জন্য আমাদের এই প্লান। আমাদের
সম্পর্ক থাকবে কিন্তু ফোনে কথা হবেনা, আমাদের ফিলিন্স থাকবে কিন্তু দেখা হবেনা।
আমাদের সম্পর্কের গভিরতা বারবে, শুধু দাড় টানা হবেনা। আমাদের একজনের প্রতি আরেকজনের ভালবাসার শ্রদ্ধা বাড়বে, অপবিত্র হবেনা। আমাদের প্রেমটা না হয় বিয়ের পরেই হবে। কি বল? এটা আমাদের ভালোবাসার কোন শর্ত না,
আমাদের নিয়ে আমাদের বাবা-মায়ের যে স্বপ্ন সেটা পুরনের জন্য্ই আমাদের এই ত্যাগ।
আমাদের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পুরনের জন্য আমাদের এই ত্যাগ। সে দিন-ই তাদের শেষ দেখা।
সারে ছয় বছর পরে রাহাত রিয়ার খোঁজে এসেছে, এই শহরে। একজন বালক এসে বলল স্যার বাদাম
লাগবে স্যার বুট আছে, ততোক্ষণে রাহাতের ভ্রম কাটল। হোটেলের ছেলেটি এসে বলছে স্যার
আপনার ফোন বাজছে, অনেকক্ষন ধরে বাজছে স্যার। রাহাত ফোনটা রিসিভ করলেন।
রাহত- হ্যাঁ, দোস্তো বল।
দোস্তো- বল কিরে ব্যাটা। রিয়াকে পেয়া কি
সব ভুলে গেলি, ফোনটাও ধরিশ না।
রাহাত- আজ রিয়ার বিয়ে।
দোস্তো- মানে, মানে কি। তুই ওয় সাথে দেখা
করেছিল।
রাহাত- আজ ওর বিয়ে দেখা করবো কি করে, আমি
চাইলেয় দেখা হবে।
দোস্তো- হাঁ দোস্ত তুমি চাইলেয় দেখা হবে,
আর অন্য কারতো বিয়ে হতে পারে।
রাহাত- পারেনা, আমি একজন কে জিজ্ঞাসা
করেছি তিনি বল্লেন জালাল সাহেবের মেয়ের বিয়ে।
দোস্তো- আরে বাল কার বিয়ে হয় হোক আগে তুই
রিয়াকে খোঁজ, ওর সাথে কথা বল। আরে তুই.... আচ্ছা রাকলাম।
কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন দেয়েছে।
দোস্তো- রাহাত শোন, মাথা ঠান্ডা কর। আগে তুই রিয়ার সাথে দেখা
কর, যেমনে হোক। প্লিজ
দোস্তো আগে তুই দেখা কর।
রাহাত- তুই সাহস দিচ্ছিস।
দোস্তো- সাহস কেন, মনে কর আমি তোর সাথেই
আছি।
রাহাত- আচ্ছা দোস্তো রাখ তাহলে, আমি আগে
দেখাকরি।
দোস্তো- ওকে দোস্তো বেষ্ট ওন লাক।
রাহাত- আমার এই বিপদে তোমার ফানি বেরয়।
আচ্ছা রাখলাম।
এর পর আর দেরি করেনি রাহাত একদম বিয়েবাড়ি,
বিয়েবাড়িতে একটা পিচ্চিকে রাহাত কি যেন জিজ্ঞেসা করল। পিচ্চি, হাতের ইসারা দিয়ে
একটা রুম দেখিয়ে দেয়। রাহাত চারপাশটা এক বার ভালকরে দেখে নেয়। পিচ্চি মুখে একটা
আঙ্গুল মুখে দিয়ে রাহাতকে দেখতে থাকে, আর ভাবতে থাকে ইনি কনের রুম কোথায় জানতে
চাইলেন কেন। কনে কে নিয়ে পালাবেননাতো, এভাবে চারপাশে কি দেখছেন তিনি, কনে কে নিয়ে
পালাবার রাস্তা নয়তো। এ লোকের তো মতলব খারাপ। যায় এখনি ছোট আপুকে খবরটা দিয়ে আসি। রাহাত
এদিক অদিক দেখে আর কনের রুমের দিকে হাঁটতে থাকে। এক সময় কনের রুমে ঢুকে পরে।
কনে- কে?
রাহাত- তুমি তাকাবে না আমার দিকে। ঘুরে দাঁড়ানোর দরকার নেই।
কনে- কেন?
রাহাত- হেয়ালী একটা হাঁসি দিয়ে বলল, কেন?
এ প্রশ্নের জবাবতো আমার চেয়ে তোমারি ভালো জানা।
কনে- তাই বুঝি, আচ্ছা বল কি বলতে চাও।
রাহাত- তোমার কথায় আমি তোমাকে ভুলে ছিলাম
গেলো ৫টা বছর। তোমার জন্যয় আমি আজকের আমি হতে পেরেছি। গত ৫টা বছর আমাদের যোগাযোগ
ছিলনা কিন্তু তোমার অনুপ্রেরণা আমাকে আজকের এই অবস্থানে আসতে সাহাজ্য করেছে।
কনে- হুম! সত্যি।
রাহাত- তোমার দেওয়া সৃতি গুলই আমার অন্তর
মহলে তোমার বিচরণ বাড়িয়েছে, তোমার মূল্য বুঝিয়েছে, তোমার ভালবাসায় ভালবাসা গুলো
ফুটতে শিখেছে, আর তারা চায় তোমার স্পর্শেই শুরু হোক আমার প্রতিটা সকাল। তোমার
নুপুরের নিক্কন মাতিয়ে রাখুক আমার সারাটা দিন। তোমায় পাশে নিয়ে রাংগাতে চাই সবকটা
বিকেল তোমার হাতে হাত রেখে আমি দেখতে চাই আমার জীবনের প্রতিটা সূর্যাস্ত। রিয়া,
তোমাকে ছাড়া আমি নিঃস্ব, শুন্য আমার পৃথিবী। রাহাত আর কিছু বলার সুযোগ পেলনা। তার
কানে এলো করতালির শব্দ। মাথা উঁচু করে চারি দিকে তাকিয়ে দেখল সবার চখে পানি, মুখে
সদ্য জন্মানো হাঁসি হাত উচিয়ে সবায় তালি দিচ্ছেন। শুধু একজন লোক চোখ বড় করে
রাহাতের দিকে। জেন শিকারী তার শিকার দেখছে তীক্ষন দৃষ্টিতে। কনে ঘুরে দারাতেয় চোখ
পরল রাহাতের। রাহাতের হার্টবিট জেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম, চোখ উঠেছে কপালে।
রাহাত- আ আ আ আ আ আপনি!
রিয়া- ও আমার বড়বোন টিয়া।
টিয়া- রিয়া এটা কি সেই বুদ্ধু, যার কথা
আমাকে বলেছিলি। কি কিউট আর কতটা ইনোসেন্ট। বাবা তুমি আর না করনা প্লিজ প্লিজ বাবা।
এতক্ষনতো সব শুনলে প্লিজ বাবা।
জালাল সাহেব- কি করা হয়।
রাহাত- একটা বেসরকারি ফার্মে এক্সিকিউটিভ
অফিসারের দায়িত্বে আছি।
জালাল সাহেব- বেশ উত্তেজিত হয়ে বললেন
বেসরকারি চাকরি, এ বিয়ে সম্ভব না চলে যাও। মুহূর্তেই যেন সব আনন্দ মিলে গেলো বিয়ে
বাড়ির।
রাহাত- আমার সেলারি ভাল ৬০+।
জালাল সাহেব- তবুও হবেনা। তুমি আসতে পার নইলে, বাকিটা
উচ্চারণ করলেন না জালাল সাহেব। কোনকিছুতেই যেন আর কাজ হচ্ছেনা তাই মাথা নিচু করে চলে স্থান ত্যাগ করলেন
রাহাত। রাহার এতক্ষনে প্রধান ফটক পেরিয়েছে। রিয়া আশা ছেড়ে দিয়ে তার বাবার কাঁধেয়
মাথা রাখল। টিয়া ভেবে পাচ্ছেনা কি করবে। সে তার বাবাকে সব কথা খুলে বলতে লাগল।
টিয়া- বাবা, ওদের সম্পর্ক প্রায় ৫বছর ধরে।
ওদের ভবিষ্যৎ আর তোমাদের কথা ভেবেই ৫ বছর ধরেয় কার কোন যোগাযোগ নাই। আজকেই প্রথম
দেখা। আজ ওরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠিত। ওরা অনেক সুখি হবে বাবা.........।
আনমনে হাঁটছে রাহাত, কানে একটা আওয়াজ এলো তার। না
কেউ ডাকছে না তাকে। তারপরও ঘুরে তাকাল সে, দেখল একজোড়া খালি পা নুপুরের শব্দে তার
দিকে এগিয়ে আসছে।
----------------------------------------
Yaire dosto released cars. Well, listen, almost six years after the country going, what's going on sadhane thakisa janasa. But not less than six years and you will hear a lot of things could happen that are ready to accept the need to keep in mind all the time, so carefully dosto-manasika. Dosto it did not. Karisa blessings. Cars started garate. Dosto Listen, by the time the car started to pull them had any idea what you just said, that's just not listen Rahat. Tried to listen with the ears but had any idea. Put his hand could not hear what Ner op had also mean that just do not understand. But I told op Ner hand.C. NGO had come down from the scaffolding, said this is the Rahat Getty Jalal's home next door.No, sir, there is also the name of Mr. Jalal daroyana here.Rahata there, but it's in this address.Daroyana I say, saw the address. Nothing to see here, in the name of the address is OK, but does not have one, sir, sir.Mr. Mizan rahata how long you're here.Daroyana gulgullaha so voluntarily and with no one to say smamana. This is the first time his name was added to the one Mr. Mr. Mizan.Mr. Mizan rahata no problem.Daroyana No, sir, no problem. I am new to this forum. It's been a month.Rahat - How long before you who were here, he was here. Well, where is he now says it worked.Daroyana Sir Rahman's brother was here a year ago. Then he wrote down the address and gave the iPad to work at home.He ran away from the Rahat's looking for. The address came a little later, piyeo. Mr. Rahman, a call came in front of the gate. One came from inside out. G Say what you want.Rahata saw his name-plate was a little dirty, there reads another name, Mr. Jobs said the iPad.Pharuka Sir, Rahman's brother, left the job.Rahata, it has left. Where can I find a little later, Mr. Rahman said.Pharuka Sir, I can not tell you exactly.Rahat is upset and started walking. I think there is reason to hope Pradeep going out. Is not never seen again, after a while understand Rahat calling him from the rear also. Faruk saw behind his back. Calling me.Pharuka put out a paper, sir, go to this address Rahman, brother, but you can get.Rahat thank him and departed. Scaffolding rickshaw with a long knock at the gate did not receive any of the baritara looked at a house in the old, moss-covered walls of the two four Plants and trees can be seen in the windows, and the walls are down Creepers has become a jungle tree is filled with pages walking along the road all the spooky atmosphere. Rahat is empty as far as the eye sees at the gate. I do not think there is anyone here say. Farooq gave me the address where. This is a spooky house. One hand on his neck from behind startled rakhateya opened the gate, and took a tour of the Shrine darateya small gemtatate Rahat after looting. Sir s not afraid to think, sir, I am not the ghost of a man, flesh and blood people, sir. The family is the owner of the house, including the amarikaya. They do not have anyone here aseona. Ekaya I am, sir. My name is Rahman Sir, sir boarded boarded. Sir payachena pain. Sir, what keure bicarayatechilena.G rahata why you will be a ghost, I think that makes it look like a ghost guy will say again what I said is not a ghost.What do you think, sir, and sir Rahman.Rahata did not do anything. I'm looking for you.Rahman me, why me, sir.Rahata you know who Mr. Jalal.
Yaire dosto released cars. Well, listen, almost six years after the country going, what's going on sadhane thakisa janasa. But not less than six years and you will hear a lot of things could happen that are ready to accept the need to keep in mind all the time, so carefully dosto-manasika. Dosto it did not. Karisa blessings. Cars started garate. Dosto Listen, by the time the car started to pull them had any idea what you just said, that's just not listen Rahat. Tried to listen with the ears but had any idea. Put his hand could not hear what Ner op had also mean that just do not understand. But I told op Ner hand.C. NGO had come down from the scaffolding, said this is the Rahat Getty Jalal's home next door.No, sir, there is also the name of Mr. Jalal daroyana here.Rahata there, but it's in this address.Daroyana I say, saw the address. Nothing to see here, in the name of the address is OK, but does not have one, sir, sir.Mr. Mizan rahata how long you're here.Daroyana gulgullaha so voluntarily and with no one to say smamana. This is the first time his name was added to the one Mr. Mr. Mizan.Mr. Mizan rahata no problem.Daroyana No, sir, no problem. I am new to this forum. It's been a month.Rahat - How long before you who were here, he was here. Well, where is he now says it worked.Daroyana Sir Rahman's brother was here a year ago. Then he wrote down the address and gave the iPad to work at home.He ran away from the Rahat's looking for. The address came a little later, piyeo. Mr. Rahman, a call came in front of the gate. One came from inside out. G Say what you want.Rahata saw his name-plate was a little dirty, there reads another name, Mr. Jobs said the iPad.Pharuka Sir, Rahman's brother, left the job.Rahata, it has left. Where can I find a little later, Mr. Rahman said.Pharuka Sir, I can not tell you exactly.Rahat is upset and started walking. I think there is reason to hope Pradeep going out. Is not never seen again, after a while understand Rahat calling him from the rear also. Faruk saw behind his back. Calling me.Pharuka put out a paper, sir, go to this address Rahman, brother, but you can get.Rahat thank him and departed. Scaffolding rickshaw with a long knock at the gate did not receive any of the baritara looked at a house in the old, moss-covered walls of the two four Plants and trees can be seen in the windows, and the walls are down Creepers has become a jungle tree is filled with pages walking along the road all the spooky atmosphere. Rahat is empty as far as the eye sees at the gate. I do not think there is anyone here say. Farooq gave me the address where. This is a spooky house. One hand on his neck from behind startled rakhateya opened the gate, and took a tour of the Shrine darateya small gemtatate Rahat after looting. Sir s not afraid to think, sir, I am not the ghost of a man, flesh and blood people, sir. The family is the owner of the house, including the amarikaya. They do not have anyone here aseona. Ekaya I am, sir. My name is Rahman Sir, sir boarded boarded. Sir payachena pain. Sir, what keure bicarayatechilena.G rahata why you will be a ghost, I think that makes it look like a ghost guy will say again what I said is not a ghost.What do you think, sir, and sir Rahman.Rahata did not do anything. I'm looking for you.Rahman me, why me, sir.Rahata you know who Mr. Jalal.
No Rahman Jalal, matching the door to a number of sahebato badalayachi Sir Jalal Jalal's talking about you.Rahata basanam 9 rodanam 1 to address such a road.Rahman can not remember a long time ago. As far as missing tinarato the home changed a long time ago. The house is not tinarata.Yes, I know Uncle Jalal, Mr. rahata the house is not. But the home has changed setato you know where.Rahman's father a long time ago, so what I have in mind.Rahat impoverished sat on the ground. And then ......The house was very nice, smiling medyama Rahman, the medyama sister gave me a piece of paper. Rahat barely any paper in the paper where he said urgently. So today I will not stop looking Hey, some days ago, the paper said parents should be khujateto. He took out his box. I can tell by the color also does not have too many purana box. Jung and took a lot of success. He khulla box. In a paper brought out a lot of paper. Sir, sir, sir, I've got to take this, sir. Rahat saw that there is an address of the poster reads. He karalana late. Rahat Rahman, who greeted waved goodbye. Rahat ran in search of a new address, such as Sahay Jalal. Address to an address written on paper is quite distant lahabe more than an hour or so. Rahat cayalana to waste time waiting for the bus, so it got a pikape. Rahat
had passed since the afternoon and evening destination pauchate
pauchate hand for the cataract, but it is unstable in the afternoon for
replies. Rahat was down to pick-up a rickshaw. Rickshaw on both sides of the street at house number milache ...... stop the stop. This basatayato, went inside the gate Rahat riksaoyalake away. Who is coming here so that you are inside the house, who you want. Rahat, looked up and saw a little girl. Hu said the key to my hand girl Ner.I balateya rahata Rahat, she says, Hey brother, you're Raha, who wants to come to the car and was bahata setata said. I wanted to Jalal Sahib Ji. Who he is at home. Yes, there is someone here Jalal broker's name, you can go to. Then she began to call on the name of the gate Mann's uncle, Abdul Abdul's uncle, Abdul G. apamani came out to talk to. The man who was sent to the girl's uncle thakana.Sir abdula Who do you want to wear us into the way ..... I can not say anymore Abdul.Here was a man named Mr. Jalal rahata uncle.Yes, indeed, Mr. Jalal abdula badalayechena home.Rahata is now able to say where.Abdula to an address.Rahat goodbye to the new address, address change to the way he was two. Rahat finally found Mr. Jalal home. Madhyeya evening's darkness has passed. There is no longer the white cloud in the sky. The wind was fierce and stopped. Rahat is sweating face. His world is stabda. The dim light of the color of his life is going to be sorted. Shining
light lamp pepper whole house, mastabaro and has arranged a nice gate
in front of the gate, the whole house shifted ♪ new samje today. A gate is called Rahat's brother Jalal it home. He ballala G. Jalal it's home. His daughter is getting married today. Well, my brother and I came to callama. Rahat was broken up at the sky. I have not seen yet cracked the hill where the spring. He convincingly all day looking for it, he immediately thought Rahat lost their lives. Rhea forgot. To me he forgot the words. How can they forget. All meyeraya one. How are you can forget it.Rahat entered a stall in a 'tea' wanted. A boy came in, sir, 'tea' screamed some more, sir. Nare not need anything else. He took his hand away yeteya paregiye Rahat glass of water on the
table, sir, I'm sorry, sir, I'm sorry the boy's shirt and pants wet to
say the time goes Rahat in his memory.Yes, Jalal's daughter Ria. Mr. Jalal in Sylhet Rahat, who came to inquire about the tanei the rear. Surrey is his relationship with the rear nearly six years ago. Rhea is such a sweet little girl in fun. Riyadh Rahat was in the attic of the house next door. Rahat yaoyaasara of Rhea was the road through the front of the house. Rahat has to be measured in a few days, the bar did not feel like wearing. Different things were different days with a stone. Poly bag filled with water and pebbles would one day, another day egg stick it away, any day
Poly bag vegetable dirt, spices, butter, water and any day beat it away. One day he realized it was the home of the Rhea Rahat something Rahat
wore his village every day on the balcony looked like Rhea and the girl
are dariye.Riya what you see above.Rahata not throw today, there's nothing like throwing understand.Riya see how nefarious. Today, there is a stone marinai opposite quandary.Where are you going next meyeta this.Rhea - daraye on here, I thinkWhat will you do next meyeta, too much than not karisaRiya You just have to go on what I do and say. Rhea came out to open the gateNow you're rahata brush. I've been filled with the brush.Yes, I've brush with riya.So rahata.Riya Now, in such a way that the village of Rahat paste and sprinkle the fore, it looks like the party spray. Rahat neighborhood looked like nothing else. She saw the surprised looks on ..He said it is rahata laughing.Riya's in this for you today, it was left to say.Rahata paketa mouth with a tissue to musate musate galo.Hello friend kyampaso coming bappa party sprayed with what many see the story.This is the guy rahata party spray, spray, such as party lagatache to you.Hey, What's up buddy bappa cetasa khuila A nahaile bujhuma sometime. The girl is provided with spray confer party. Rahat village in the nose to the smell of cestakare Bappa, the great sentare dosto later.Rahat went a little mad Bappa hold. The girl brush away the dirt in my village are many great St. barayache.Hey bappa dosto kayatachi rubbish.Rahata a poet.The girl loves to confer bappa.Itrami, do not let your arms and legs rahata dosto. One way to survive from the mayyara Dey.Say I Love You Dey bappa.But bacabina rahata you.Well before bappa hear.Rahata ball.Who is going to tell you when bappa Rhea, I love you. And you're not to love Rhea basuka you will be out of the way.Rahata you say you went away, and Rhea. And then what you love to do.Bappa the hell you like riyake,Rahata dosto janinare. Just do not understand.You've been so dosto bappa.I mean the guy rahata tree, you do not let me bhasayatecha bujhatachina dubayatecha otaito.Listen to the voice bappa dosto mind, if you're not good bus Rhea, who then lived at No. Rhea directly tell you I love you, you're in love with Rhea After listening to this, then the work will never do. If you do not take a bus in front of you will not ever.Rahat - true. The next day, Rahat Rhea looked at the porch of the gate sooner. Rhea dariye approach alone. Rahat pointed riyake.Riya pointing cayala mean what he said.What will rahata today.Darren antechi riya. Rhea opened the gate to say I Love You Rahat. Rhea, what is said.Rahata G, G, stutter stutter, I love you.
Riya speak to any of them had any idea, was utterly silent. Bhiriye getta gently into the dauradharala house.Then comes the matter of Rahat, was approximately 1 week off, and the rear pelana seen. Anyone with garbage and throw it away, he did not. It seemed to her that she missed him very much. Riyake not be without. Audi will have to meet him. Rahat after entering the house in Riyadh. He already knew the gate guard did not say anything sabaghate samaneito. No one is inside.Riya what you came inside. What you want.Rahata I do not want to do anything. I do not believe you all week, so I did a little research of the disease are not used to this.So riyaIt's so rahata Yes, I agree, and trace My family is my neighbor. Dhilabena me, dhilabena every day, your mind want to jatabara dhilabena times. I will not tell you that I love you. Do you dhiladile makes me feel bad. Do you see yourself is zero. After that you have to throw me hasi not see the smile on my day is good. If
you do not know, like when you throw a pebble in my village as sweet as
that's not my time, I would not love you no more, I do not believe any
more. Rahat come out and not say anything.Riya Rhea did not say anything on that day, did not say what did not get a chance to tell Rahat did not understand. Rahat, however, did try to understand. Rahat and face the rear cokhera language Guess could not wear his heart was bound phrame words.A few days later, Rhea met Rahat.Rahata bolana say.Riya I do not know how much, or how much you love me. But I love you so much. GG said stutter stutter Rahat Rahat, I love you so much more to say,
but stopped Rhea, today you're not and you claim to be kareya.Well riya a year now, and how long will it be the end of your likhapara. In all, I want to know how much you mean to stabalisa could take days.Rahata honors two years, two years and a job for the Masters two years. Six years.Riya six years. Okay, I gave him six years, I can not wait for my whole life, but if
parents can not keep it down, and I promise you your deeds, I will wait
six years.Rahata just do not understand what you're saying.Hate us riya time I walked around the park, or mobile phones, and to lose at this plan. But our relationship will not talk on the phone, but it will not be our philinsa. Barabe depth of our relationship, do not just stand in a row. Respect for one another grow in our love, not polluted. Tasha is not to be after our marriage. What do you say? It is a condition of our love, bring us that our parents left us janyi fulfilling that dream. Fulfilling the dreams of our parents left us. She was last seen them. Surrey Six years later, seeking the rear Rahat, in this town. A boy came and said, Sir, sir, would be nuts to boot, the time passed Rahat oversight. He came to the hotel, sir, your phone is ringing, ringing for a long time, sir. Rahat did receive the phone.Rahata Yes, dosto ball.Hello guy dosto ball. Changes in riyake forget all your lucky day, the phone does not dharisa.Rear rahata married today.Dosto means, what it means. Waugh did you meet.Rahata will meet today to marry her, I would have seen caileya.Yeah man, you will meet dosto caileya, and may marry another karato.Rahata can not, I have a daughter who's asked, he said Jalal.
Hey, who is married to the child, whether before dosto riyake you look, talk to him. Hey, are you okay .... rakalama.After a while the phone makes.Listen dosto Rahat, the head cool. Rear before you meet, whether yemane. Please to meet you before dosto.Rahata You dare to dare.Dosto courage Why, do you think I'm with you.Put dosto rahata Well, then, I meet at.He won Best dosto dosto luck.Funny you my distress rahata held. Well put.That would delay the hall Rahat, at the wedding feast was asking something of a piccike Rahat. Kid, a room with hand isara show. Takes a look at one of the bars around Rahat bhalakare. Face to face with a little finger to see rahatake, and the bride's room, where he asked the reason why. Palabenanato about the bride, so she can see what's around, who is the bride, or the escape route. This man is a bad plan. Let's just small Tigerstar news. Obviously, there is more to see and walk around the room Rahat bride. After a time, the bride's room.Who kane?Rahata you do not look at me. No need to bounce back.Why kane?Rahata heyali with a smile and said, Why? Jababato question Tomari know better than me.Kane, so I understand, okay, what do you want to say.Rahata your words, I was 5 years was forgotten. You have to be janyaya I am today. Contact us in the past 5 years, but I did not have encouragement helps me to this position today.Kane Hmm! Really.You
walk among the memories you have given my heart rahata gulai increased,
the price you mean, you learned to love, love the boil, and they want
you to touch me, every morning. Nupur nikkana let you filled my whole day. All afternoon, I would like to rangate side of your left hand, I would like to see every sunset of my life. Rhea, without you I am poor, my world is empty. Rahat pelana chance to say anything else. Came the sound of applause in his ears. The water looked so alive around his head held high, the newly-born smile sabaya stick out their hands are clapping. Just as a person's eyes to Rahat. Jane hunter watching his prey sharp eyes. Rahat darateya put around the bride's eyes. Rahat heartbeat Jane about to close, eyes, forehead are.Ii ii ii ii ii rahata you!Riya barabona my parakeet.Rhea tiya it the noodle, which balechili me. And how cute is Innocent. Dad, please do not you and Dad. Please hear all etaksanato father.What is Jalal saheba.I'm in charge of a private farm rahata Executive Officer.Jalal said excited saheba private employment, it is not possible to leave the marriage. It was all joy at the wedding.Rahata celery in my 60+.Jalal saheba not yet. You can come back otherwise, the rest did not mention Mr. Jalal. Anything that does not work anymore, so head down to the left Rahat space. Raha now it's been a main gate. Rhea gave up on his father's head and put kamdheya. Tia receiving what you think. He began to talk about his father.Tiya father, their relationship for nearly 5 years. And thinking about the future of their 5-year-dhareya whom there is no communication. First seen today. Today, they founded their own. They have a lot of parents will be happy ..........Absently walking Rahat, a voice came to his ears. No one is calling him. Still, he looked around, he saw a pair of bare feet coming toward him at the sound of Nupur.
======================
লেখক ও চরিত্র
চরিত্র- তাই বলে
তুমি নিজ হাতে আমাকে মারবে।
লেখক- তোমাকে
মরতেই হবে, আর কোন পথ খোলা নেই আমার। উপরে উঠার
সিঁড়ি এখন তুমি। তোমাকে আমি নিজ হাতে মারবো। তিলে তিলে মারবো, কষ্ট দিয়ে মারবো,
জনসম্মুখে তোমাকে আমি নষ্ট করে মারবো।
চরিত্র- পারবে,
পারবে আমাকে মারতে।
লেখক- কতো
চরিত্রকেই তো মারলাম। তোমাকে পারবনা কেন। কারো গলা টিপে মেরেছি কাওকে গুলি করে কতজন
কে যে জ্যান্ত মাটি চাপা দিলাম কতো জনকে ফাঁশিতে চড়ালাম, বস্তায় ভরে সাগরে ফেলে
আসলাম, আবার হাত-পা ভেঙ্গে চিল-শুকুন আর
সিয়াল-কুকুরের খাবার ও বানিয়েছি অনেক কে। কাঁচা মাংস মনেকরে খেয়েছি নারীরদেহ, দিনের পর দিন
উল্লাসে মেতেছি তাদের আঁকাবাঁকা মাঠে, যখন পানসে মনে হয়েছে ছুরে ফেলেছি মৃত্যু
কূপে। তোমাকে পারবনা কেন।
তোমাকে যে পারতেই হবে।
চরিত্র- জানি
জানি। এ সব কিছু তুমি আমাকে দিয়েই করিয়েছ, আর কিছু করেছ নিজে।
লেখক- তাহলে
তুমি স্বীকার করছ যে তুমি একজন খুনি।
চরিত্র- আমি
খুনি হলে তুনি কি? আমিতো খুন করতে চায়নি। তোমার কথায় খুন করেছি। তুমি বলেছ তায়
করেছি। তুমি আমাকে দিয়ে খুন করিয়েছ।
লেখক- এ জন্যয়
তোমাকে খুন করা হবে। আর এমন ভাবে খুন করা হবে যা তুমি কেন পৃথিবীর কেউ কল্পনাও
করতে পারবেনা।
চরিত্র- পারবে
আমাকে মারতে, পারবে এতো নিষ্ঠুর হতে। তুমি তোমার
পরিবাকে অতটা সময় দাওনি যতটা আমাকে দিয়েছ। তুমি তোমার ছেলেকে ততটা সময় দাওনি যতটা
আমাকে দিয়েছ। যতোটা ভালো আমাকে বেসেছ তোমার মেয়েকে বাসনি। রাতের পর রাত দিনের পর
দিন তুমি আমাকেই নিয়ে থেকেছ। যতোটা ছেলেমেয়ের খোঁজ নিয়েছ তার চেয়ে বেশি আমার খোঁজ
নিয়েছ। তোমার এই হাত দিয়ে আমাকে এতো বড় করেছ। আমার গাঁয়ে কোন আঁচড় লাগতে দাওনি এত
বছর। বিপদে আপদে পাশে ছিলে ছায়ার মতো । এই আমার জন্যয় তুমি ফিরিয়ে দিয়েছ রাতের পর
রাত তোমার স্ত্রীকে। বঞ্চিত করেছ তাকে তার ভালোবাসা থেকে, বঞ্চিত করেছ তাকে তার
পাওনা আদর সোহাগ থেকে। আমাকে বাচানর জন্য এত দিন তোমার এতো লড়ায়, সেই তুমি আজ আমাকে
মারতে চাও। পারবে মারতে, পারবে চালাতে এবুকে গুলি।
লেখক- তুমিই
একমাত্র সাক্ষি জতগুল খুন তুমি করেছ। এ সমাজ সংসার আজ যে নৈরাজ্যের কারনে
চূর্ণবিচূর্ণ সে তুমি।
চরিত্র- এর মুলে
তুমি। তোমার কথাতেয়তো...
লেখক- তোমাকে
খুন করেই তো আমি হব রাজ্য জয়ের নেতা। তোমাকে খুন করেই তো আমি বলব ধংস করেছি
নৈরাজ্যের সম্রাজ্য, নাস করেছি সম্রাটকে। তোমাকে যত মানুষ দেখবে
আমার পরিচিতি ততই বারবে। তোমাকে যত টুকরো করা হবে ততই বারবে আমার পাঠক। তোমাকে যত
নিঃসহংস ভাবে মারা হবে ঠিক ততটায় আন্তরিক ভাবে করতালি দেবে এ সমাজ। তোমাকে কে বানিয়েছে
আজকের সম্রাট কেও খোঁজ নেবেনা। স্ম্রাটের হাতে কে তুলে দিয়েছে অস্ত্র তার
কেউ খোঁজ করবেনা। কার স্বাধীন কোথাকার স্বাধীন কথায় এসে সম্রাট হল, কেন হল, কারা
বানাল স্বাধীনদের সম্রাট। কাদের শীতল ছায়ায় তোমারা অমানুষ হয়েছ, কুয়াশার
চাঁদরটা কেউ তুলে দেখবে না। কে কে ওখানে।
ঊর্মি- আমি
বাবা, ঊর্মি।
লেখক- আয় মা,
কাছে আয়।
ঊর্মি- তোমার চা
বাবা।
লেখক- হু যা
বলছিলাম, লেখক ঘুরে আর কাউকে দেখতে না পেয়ে বলল পালিয়েছে। পালাবে কথায় আমার কাছে
তোমাকে আসতেই হবে।
ঊর্মি- কার সাথে
কথা বলছ বাবা।
লেখক- তোমার
সম্রাট চাচ্চুর সাথে মামনি।
ঊর্মি- কোথায়
চাচ্চু।
লেখক – তোমাকে
দেখে পালিয়েছে।
ঊর্মি- আমি বাঘ
নাকি আমাকে দেখে পালাবে।
লেখক- তুমি
সত্য, তুমি পবিত্র মামনি,নির্ভীক নির্ভীক হৃদয় তোমার, যারা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে
সাহসী, তুমি এখনো যে তাদের দলে মামনি। আর সাহসিদের দেখে সবায় পালায়। তুমি এখন যাও মামনি আমি কাজটা শেষ করি।
ঊর্মি- বাবাকে
একটা চুমু দিয়ে চলে গেলো।
ঊর্মি যেতেয়
লেখকের সামনে হাজির হয় সম্রাট আর বলতে থাকে। ঠিক ই বলেছ তুমি, ঊর্মিরা সত্য,
পবিত্র যাদের দেখে সবায় ভয়ে মুখ লুকায়। তুমিও কবির তুমিও।
ঊর্মি- তুমি কি
দেখেছ মা, বাবা একাএকা কথা বলে। কার সাথে কথা বলে, ও মা বলনা বাবা একা একা কার
সাথে কথা বলে।
ঊর্মির মা শায়লা
কবির, যথেস্ট বুদ্ধমতি, ধৈর্য শিল, সুন্দরি ও স্মার্ট। একজন ভদ্র মহিলার মধ্যে যে
সকল গুনাবলি থাকা দরকার তার সব গুলোয় তার মধ্যে বিদ্যমান। সর্বোপরি তিনি একজন আদর্শ মা, সবমিলিয়ে তিনি
একজন আদর্শ গৃহিণীর পরিচয় দিয়ে আসছেন। শায়লা কবির ঊর্মির হাত ধরে এগুতে থাকলো
লেখকের রুমের দিকে।
সম্রাট- আমাকে
তুমি নষ্ট করেছো এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। আমি ভালো হতে চায়। ভালো না হয়ে মরতে
পারিনা। আমাকে ভালো হওয়ার একটা সুযোগ দাও। আমি অনেক দূরে চলে যাবো, তুমি খুজেও
পাবেনা। হারিয়ে যাবে গল্পের অন্য চরিত্রের মাঝে।
লেখক- আমার
প্রয়োজনেই তোমাকে তুলে এনেছি, আমার প্রয়োজনেই তোমাকে তৈরি করেছি, স্বাধীন থেকে
সম্রাটে রূপান্তর করেছি। আমার প্রয়োজনেই আবার তোমাকে খুজে বের করবো। পাতাল পুরি
থেকে চন্দ্রলোক কোথায় থকবে তুমি লুকিয়ে। বলতে বলতে চায়ের কাপটা রাখলেন টেবিলে, কিছু একটা
খুজছেন টেবিলে এর পর ড্রয়ার টেনে পিস্তুলটা তাক করে ধরলেন সম্রাটের দিকে। এ ছাড়া
আমার আর কোন পথ খোলা নাই সম্রাট, তোমাকে না মারলে উপরে উঠার সিঁড়ি আমার হাতে
থাকবেনা। হাত ছাড়া হয়ে যাবে সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার চেয়ারটা। জানো সম্রাট তোমার সাথে
কথা বলতে দেখে অনেকেই আমাকে পাগল বলে।
শায়লা কবির-
পাগল বোলবে নাতো কি বোলবে। কোথায় সম্রাট, আর কাকেই বা তুমি গুলি করছ। পিস্তুল নামাও। লেখকের ভ্রম কাটল
এতক্ষণে। মাথাটা হালকা ঝাকি দিয়ে ডান হাত দিয়ে হলকা টোকা দিলেন মাথায়। কি হয়েছে
তোমার বল্লেন শায়লা কবির।
লেখক- লিখতে
লিখতে গল্পের মধ্যে চলেগিয়েছিলাম। গল্পের একটা চরিত্র সম্রাট তার সাথেয় কথা
বলছিলাম।
শায়লা কবির- তাই
বলে এ ভাবে। তুমি কি বুঝতে পারছ যে তুমি কি করছিলে।
লেখক- sorry
sorry এমনটা আর হবে না।
শায়লা কবির-
টেবিলে নাস্তা দেওয়া হয়েছে আসো। হাঁটতে ধরেই থেমে গেলেন শায়লা কবির, তিনি দেখলেন লেখক আবার কি জানি ভাবতে
শুরু করেছেন। তিনি আবার ডাকলেন, কই আসো।
লেখক- তুমি যাও
আমি আসছি।
শায়লা কবির-
আসছি মানে, এখনি চলো বলেই লেখককে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলেন।
লেখক- তুমি
ছারবে না তাইতো। এখনি যেতে হবে।
শায়লা কবির- হু
এখনি যেতে হবে চলো বলেই জোরে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে আসলো নাস্তার টেবিলে।
লেখক- শাওন
কোথায়, উঠেনি ঘুম থেকে।
ঊর্মি- উঠেছে,
দাদু একটু হাটবে বলে বের হচ্ছিল আর শাওনটা
দাদুর পিছু নিলো। ব্যাস দাদু ওকে কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করল।
লেখক- বাবা এই
বয়সেও কতটা শক্তিশালী, আর আমরা।
শায়লা কবির-
বাবা যে পরিমান স্বাস্থ স্বচেত্ন .........
লেখক- বাবার
কিন্তু আজকে বাড়ি যাওয়ার কথা, সব গোছগাছ করে রেখেছোত।
শায়লা কবির-
হুম, সব ঠিকঠাক আছে তুমি যাচ্ছোতো।
লেখক- না আমি
পারছিনা, প্রকাশনালয়ে যেতে হবে। তুমি যাওনা।
শায়লা কবির- আর
তোমার ছেলেমেয়ের স্কুল। ওটা কে করবে শুনি।
লেখক- ড্রাইভার
কে ভালো করে বলে দিও।
গভীর হচ্ছে রাত,
শায়লা কবির শুয়ে আছেন তার ঘরে। ঘুম আসছেনা তার। শুয়ে শুয়ে কোন মতে রাত পার করার
কথা। কখনো এ কাত আবার কখনো ও কাত হয়ে শুয়ে থাকা। এতো বরো বিছানায় একা তিনি, ঘুম ও
নেই তার সাথে। অতীত স্মৃতি গুলো গুনে গুনে সময় যায়। এইতো কিছুদিন আগেও, কিছুদিন
আগে বলতে বিয়ের আগের কথা লেখক সারাক্ষন শায়লার পিছে পিছে ঘুরত। শায়লাকে নিয়েই গান
আর কবিতা লিখত। ছন্দের মেলা বসাত শায়লাকে নিয়ে কবির। হাঁ
আজকের এই বিখ্যাত লেখকের নাম কবির আহমদ। শায়লা হেঁটে যাচ্ছে কবির হাটছে তার পিছু
পিছু, শায়লা শপিংমলে কবির ও সেখানে শায়লা রিক্সায় কবির ও রিক্সা নিয়ে ফলো করতে
থাকে শায়লাকে। শায়লা বিরক্ত বোধ না করলেও তার সঙ্গিরা ঠিকি বিরক্ত বোধ করতো।
শায়লা, শিলা আর
পারভিন রেস্তরাঁয় বসে সুপ খাচ্ছে এমন সময় শিলা ধূম করে বলে ফেলল তুই হাঁ আর না
একটা বলে দিলেয় পারিস শুধু শুধু কবির ভাইকে এভাবে ঘুরানোর কি আছে ।
শায়লা কবির- আমি
ঘুরায় মানে কি, আমি কি ঘুরতে বলেছি।
পারভিন- না ও তো
বলিসনি।
শায়লা কবির-
আহারে এতো দরদ তো জাওনা, গিয়ে ঝুলে পর। না করেছে কে।
শিলা- সে কপাল
কি আর আমাদের আছে। বলেই সবায় হাসতে শুরু করল।
শায়লা কবির-
ছেলেটা কে আমারও পছন্দ হয়েছে। তাই না করতেছি না। আর ভালয়তো বিনে পয়সায় একটা দেহরক্ষী পাওয়া গেছে। বুঝলি।
পারভিন আর শিলা-
হুম দোস্ত বুঝলাম, দেহরক্ষী পাইছ।
শায়লা কবির-
ধ্যাত, তরা সব সময় ফাজলামি করিস। চল এখন যাওয়া যাক।
শায়লা আর কবির
বেশিদিন প্রেম করতে পারেনি। খুব তারাতাড়ি তাদের বিয়ে হয়ে যায় পারিবারিক ভাবে।
কোন এক
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘লেখক হিসাবে আজকের কবির আহমদের পেছনের গল্পে যার
অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি আমার স্ত্রী শায়লা কবির’।
তার অনুপ্রেরনা আমাকে জুগিয়েছে সাহস। তার সাহায্য আমার চলার পথ করেছে মশৃন। তার
ভালোবাসা শিখিয়েছে ভালবাসতে। তার মান অভিমান গুলো শিখিয়েছে চরিত্র গুলো নিয়ে
খেলতে।
ঘরিতে এখন রাত দুইটা বাজে। লেখক একটু করে লিখছেন আর কি মনে হচ্ছে পৃষ্টাছিরে ফেলছেন, আবার লিখতে ধরে ছিরে ফেললেন। শায়লা কবির
লেখকের ঘরের সামনে। হাতে একটা গরম কফির কাপ। তিনি দেখলেন পুরো রুম কাগজের বল দিয়ে
ভর্তি। লেখক লিখছেন আর ছিরছেন। শায়লা কবির কফির কাপটা লেখকের সামনে টেবিলের উপরে
রাখলেন। এতোক্ষন লেখক খেয়াল করেনি।
লেখক- শায়লা
তুমি, কতক্ষন। তুমি না থাকলে যে আমার কি হত।
শায়লা কবির- কি
হত
লেখক- এই যে
আমার এখন কফির দরকার এটা তুমি ছাড়া আর কে বোঝে বল।
শায়লা কবির-
তোমার দরকার টা আমি বুঝি, আমারটা কে বুঝবে। আমার ও তো অনেক চাওয়া-পাওয়া আছে। বিয়ের
আগেতো তুমি এমন ছিলেনা। তখন আমিই ছিলামা তোমার পৃথিবী, আর এখন আমি তোমার পৃথিবীর
বাহিরে। আমার সাথে কথা বলার মতো সময় এখন তোমার নাই। ছেলে মেয়ে দের খোঁজ খবর ও নাও না আগের মতো। সব দায়িত্ব যেন
আমার।
লেখক- খুব শান্ত
গলায় বলল, এত রাতে কি আমার সাথে তুমি ঝগড়া করবে।
শায়লা কবির-
তোমাকেতো আর অন্য সময় পাওয়া। কথা বলারই সুযোগ পায়না আর ঝগড়া। শায়লা লেখকের সাথে
বেসি সময় ধরে ঝগড়া করতে পারেনা কারন অবশ্য লেখক নিজে। তিনি সব দোষ স্বীকার করে
নেন। তাই শায়লার ঝগড়া করার মুড ও আর থাকে
না। শায়লা লেখক কে জড়িয়ে ধরল। লেখকের দুই পায়ের উপর পা দিয়ে দাঁড়ালো শায়লা এর পর
লেখকের দুই হাত টেনে নিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরালো, এর পর লেখকের চোখের দিকে তাকিয়ে কিজেন
বলতে চায়ছে শায়লা।
লেখক- পাগল হলে
নাকি শায়লা, এখন আমার লেখার সময়।
শায়লা কবির-
আচ্ছা একটা চুমু দাও চলে যাচ্ছি।
লেখক ভালো করেয়
জানে এ ফাঁদে পা দিলে আজ আর তার লিখা হবেনা। আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি।
শায়লা কবির-
লেখকের বুকে মাথা রেখে বলল এভাবে আমাকে আর কতো দিন ফাকি দেবে। প্রতি রাতেই তো বলো
তুমি যাও আমি আসছি। চলনা ঘুমায়। কতদিন এক সাথে ঘুমায়নি বলতে পার, কতো দিন তোমার বুকে মাথারেখে ঘুমতে
পারিনি বলতে পার। আমি শুধু তোমাদের জন্য আমার জন্য কেউ নেই। শুধু লিখা আর লিখা দিন রাততো লিখা নিয়েই পরে থাকো।
লেখক- পাগলামি কোরনা
শায়লা। লিখাটা শেষ করতে হবে এ সপ্তাহে। আর সম্রাট কে নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত।
শায়লা কবির-
আবার সম্রাট।
লেখক- হুম, ওকে
না মারলে লিখাটা আর জমছে না। কিন্তু কি ভাবে মারবো সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।
শায়লা কবির- আরে
এতো সহজ একটা বিষয় নিয়ে এতো চিন্তিত হয়ার কি আছে। বাস ট্রাক নইলে ট্রেনের তলে ফেলে
দাও মোরে যাবে চলো এখন ঘুমোবে।
লেখক- বিষয়টা
এতো সহজ না।
শায়লা কবির-
তুমি কি ভাবছ একটু খুলে বলতো।
লেখক- সম্রাটকে
খুব কষ্ট দিয়ে মারতে চায়ছি, চাইছি জন্ত্রনায় কাঁতরে মারতে। ওকে এমন ভাবে মারতে
চাইছি যে মরণ পৃথিবেতে আজো কারো হয়নি আর হলেও খুব কম। সম্রাট মরলে ওকে সবায় চিনতে
পারবে, ওর লাশ দেখে মানুষ যতোটা আঁতকে উঠবে ততটায় খুশি হবে। ওকে এমন ভাবে মারতে
চাই, ওর লাশ দেখে যেন মানুষ মাসের পর মাস ঘুমোতে না পারে, তার মৃত্যুর কথা লোকে
বলতে গেলে যেন শিউরে ওঠে বছরের পর বছর। জুগের পর জুগ তার কথা জেন মানুষের মনে
থাকে। মানুষ বোলবে এরকম সন্ত্রাসীর মরণ এরকমই হওয়া উচিৎ।
শায়লা কবির-
থামো থামো, এই সম্রাট ই তো তোমার গল্পের মূল চরিত্র।
লেখক- হুম এই
সম্রাট আমার গল্পের মূল চরিত্র।
শায়লা কবির-
তাহলে তাকে তুমি মারতে চাইছ কেন। তাও আবার এতো নৃশংস ভাবে। যে সম্রাট কে দিয়ে
এতদিন তুমি রাজত্ব করেছো তাকে না মারলেয় কি নয়।
লেখক- সম্রাট কে
দিয়ে যে রাজত্ব আমি গড়েছি, সেখান কার রাজাতো আমি হয়েছি ওনেক আগেই এবার ওকে মেরে
আরও উপরে উঠতে চাই। হতে চাই সকল রাজার রাজা, মহারাজা। হাঁ হাঁ হাঁ হাঁ, বলেই অট্ট
হাসি হেসে ফেললেন।
শায়লা কবির-
তুমি ঠিক আছতো অসুখ করে নাইতো তোমার। চল ঘুমোবে।
লেখক- বুঝেছি আজ
তুমি আমায় ছারবেনা, ঠিক আছে ম্যাডাম চলেন।
শায়লা কবির- ঘুম
থেকে উঠে তার প্রথম কাজ গোসল করা আজো তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মাথায় তাওয়াল পেঁচিয়ে
খারাকরে বেধে রেখেছে চুল শুকানর জন্য। এক হাতে চায়ের কাপ নিয়ে অন্য হাত দিয়ে লেখককে ডাকলেন ওঠো এই ওঠো, তোমার চা নাও।
লেখক- তোমাকে তো
বলেছি খালি পেটে চা খেলে এসিডিটির সমস্যা বারে।
শায়লা কবির-
চায়ের কাপ রেখে বারান্দার দিকে জেতেজেতে বল্লেন বারান্দায় এসে দেখো প্রকৃতির নতুন
সাঁজ। প্রাণ খুলে গাইতে ইচ্ছে করছে গান নাচতে ইচ্ছে করছে বলে মাথা থেকে তোয়ালে
খুলে একটু নেচেও দিলেন। তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ,নাচে নিত্তে নব চিত্তে, তাতা থৈ
থৈ, তাতা থৈ থৈ।
লেখক- থামলে
কেন, ভালইতো নাচ্ছিলে।
শায়লা কবির-
হুম, ভালো না কচু বলে বারান্দার রেলিঙ্গে হাত রেখে দেখতে থাকে প্রকৃতি। দুষ্ট
বাতাস শায়লা বেগমের এলো চুলে খেলা শুরু করে, আবার আঁচল ধরে টানাটানি করে, বাতাসের
দুষ্টমি দেখে লেখক আর বসে থাকতে পারলনা। উঠে আসলো বারান্দায়, হাত দুটো প্রসারিত
করে শায়লার হাত দুটো ধরে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘাড়ে গলায় ঘসতে থাকে মাথা।
শায়লা কবির- কি
হচ্ছে এ সব, ছাড়ো।
লেখক- না ছারলে।
শায়লা কবির-
বাচ্চারা চলে আসবে।
লেখক- ঘুম থেকে
উঠেছে ওরা। আসলোই বা এসে দেখবে তাদের বাবা-মা এখনো প্রেম করে। যেমনটা করত বিয়ের আগে।
শায়লা কবির-
বিয়ের আগের দিনগুলো তোমার মনে আছে। তোমার মাঝে আমি আমার আগের লেখককে খুঁজে পায়না। দেখো দেখো আকাশের ঐ
জাইগাটা আরে ঐ জাইগাটা দেখো কতো সুন্দর।
লেখক- সূর্যদ্বয়ের আনন্দ আর পাখপাখালির
কলরবে নতুন করে সেজেছে পৃথিবী। ভোরের আলোয় আলকিত হচ্ছে এ পৃথিবীর অচেনা সব
সৌন্দর্য। দেখে মনে হয় এ যেন শিল্পির ক্যানভাসে আঁকা কোন ছবি, আর সেই ছবিতে প্রাণ
দিয়েছে বয়ে চলা মৃদু বাতাস। দূরদূরান্ত থেকে বয়ে আনছে দেহ মন আর প্রাণ জুরানো
সুবাস। প্রতিটি সকাল যেন ভিন্ন রকম। প্রতিদিন-ই যেন জীবনের সংজ্ঞা বদলে যায়। বদলে
যায়, চাওয়া পাওয়া আনন্দ এমনকি চলার গতিটাও।
শায়লা কবির-
আবার শুরু, আর ভালবাসতে হবেনা স্যার, যান এবার ফ্রেশ হয়ে নেন।
শায়লা বসে বসে
টিভি দেখছে। কলিং বেলের শব্দ শুনে ঘড়ির দিকে তাকালেন দেখলেন প্রায় পাঁচটা বাজে।
দরজা খুলে দেখেন শিলা। দুই বন্ধু দুজনকে আলিঙ্গনে বেঁধে রাখলেন কিছুক্ষণ।
শায়লা কবির-
দোস্ত তুই এতদিন পর কোথাথেকে। হারামি একটা ফোন ও করিশনা কোনোদিন। এটা কোথায় পায়লি।
অনেক কিউট তো। কি নাম রেখেছিস।
শিলা- তোরদুইটা
যে খানে পাইছিশ আমার টা সেখানেই পায়ছি, শুধু ঠিকানা টা ভিন্ন দোস্ত, আর নাম করবী। চল আগে ভিতরে বসি তার পর কথা
বলি।
শায়লা কবির-
শাওন, ঊর্মি কোথায় তোমরা। দেখো তমাদের অ্যান্টি এসেছে। মায়ের ডাকে হাজির শাওন আর
ঊর্মি। তাঁরা শিলার সাথে হায় হ্যালো করল, কেমন আছ জানতে চাইল শাওন।
শিলা- অনননেক
সুইট তো বাচ্চাদুটো, আর বাচ্চাদের বলল আমি ভালো আছি তমরা।
বচ্চারা বলল জি
আমরা ভালো আছি অ্যান্টি।
ঊর্মি- আম্মু
আমরা ভিতরে খেলতে যায়।
শায়লা কবির- যাও
কিন্তু.......বলতেই
শাওন- দুস্টমি
করা যাবে না, এই তো। বলে করবীর হাতধরে টেনে নিয়ে গেলো ভেতরে।
শায়লা কবির- আসলি
বিকেলে কেন। সকালে আসলে কি হত। সারাদিন আড্ডা দিতাম।
শিলা- কিরে তোর
দেহরক্ষী কোথায়, বাসায় নেয়নাকি। বলেই ডাকতে শুরু করে কবির ভাই।
প্রকাশক- না
ভাই, আপনার হাতে ধরি পায়ে পরি এই সপ্তাহের মধ্যে লিখাটা আমাকে দিয়েন। প্লিজ ভাই
চেষ্টা করেন। আমি জানি আপনি পারবেন।
লেখক- আমি
প্রাণপণে চেষ্টা করবো কিন্তু কথা দিতে পারছিনা ভাই।
প্রকাশক- আপনি
চেষ্টা করলেই হবে আর কিছু লাগবে না ভাই। এটা রাখেন ভাই এখানে ঢাকা- কক্সবাজার-ঢাকা
টিকিট আর ও খানকার হোটেলে সব বলা আছে, ভিতরে এড্রেস আছে। আগামী সপ্তাহে আপনার
ফ্লাইট।
লেখক- মাফ নেই
তার মানে।
প্রকাশক- আর এটা
রাখেন। লেখক বুঝতে পারলেন এটা টাকার প্যাকেট। প্যাকেট টি নিলেন করমর্দন করলেন আর
কথা না বারিয়ে বিদায় নিলেন প্রকাশকের নিকট থেকে। লেখকের এখন এক্টায় চিন্তা,
সম্রাটকে কি ভাবে ফাঁদে ফেলবে। কিভাবে মারবে তাকে। সম্রাট কে মেরে টানবে গল্পের
ইতি, আর নিজের জীবনে আনবে নতুন প্রভাত।
শায়লা কবির- কি
হয়েছে তোমার মন খারাপ, না অন্য কিছু।
লেখক- না, তেমন
কিছুনা। অনেক দিন কথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। চলনা কথাও থেকে একটু বেরিয়ে আসি।
শায়লা কবির-
আমাদের জন্য না তোমার লিখার জন্য।
লেখক- সব
মিলিয়েই হল না হয়।
শায়লা কবির- ঠিক
আছে কালকে বিকেলেয় যাই।
লেখক- কোথায়?
শায়লা কবির- চিড়িয়াখানা
যায় না হলে শিশুপারকে বাচ্ছরা খেলল আমাদের বিনদন হল।
লেখক- ওকে
ম্যাডাম ডান।
শায়লা কবির- এরিয়ে
গেলে।
লেখক- মানে।
শায়লা কবির- কি
হয়েছে সেটা কিন্তু এখনো বলনি। কিছুতো একটা হয়েছে, তুমি সেই সকালে বেরলে আর আসলে
রাতে ঠিক মত খেলেও না, সারাদিন কোথায় ছিলে। তবে তোমাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে।
বলনা কি হয়েছে। না কি সম্রাটের বিষয় নিয়েই............। আর বলার সুযোগ পায়ানা
শায়লা কবির।
লেখক- হুম, তুমি
ঠিকই ধরেছ, সম্রাটকে নিয়েই চিন্তিত। ওকে মারার মতো কোন ফাঁদ পাচ্ছিনা।
শায়লা কবির- আচ্ছা
একটা প্রশ্নের উত্তর দাও, সম্রাটকে মারার পেছনে গল্পের স্বার্থ নাকি তোমার স্বার্থ
জরিয়ে আছে।
লেখক- এটা কোন
ধরনের প্রশ্ন। বলে চলে যেতে লাগলেন।
শায়লা কবির- আজ
শিলা এসেছিলো,
লেখক- তায়নাকি
কখন আগে বলনিত।
শায়লা কবির-
বলার আর সুযোগ পেলাম কোথায়। তোমাকে নিয়েয়তো ব্যাস্ত। তবে দুজন আজ প্রাণ ভরে আড্ডা
দিয়েছি। তোমার সাথে দেখা করার জন্য অনেকক্ষন ছিল কিন্তু তুমিত আসলে এখন। আচ্ছা
তুমি শিলার কথা শুনে এত প্রাণবন্ত হলে ব্যাপার কি।
লেখক- ও তুমি
বুঝবেনা, বলে দুজনেই হাসতে শুরু করল। হাসতে হাসতে লেখক থেমে গলো, শায়লা চুপ করে
লেখকের দিকে তাকিয়ে থাকল। পেয়েগেছি পেয়েগেছি বলে বেরিয়ে পরলেন ঘর ছেড়ে।
শায়লা কবির-
কপালে হাত দিয়ে বিছানায় বসে পরলেন। আর মনে মনে বলতে থাকলেন, হায়রে লেখক এরা
স্বার্থের জন্য চরিত্রকে জন্ম দেয় লালন পালন করে সন্তানদের মতো, ভালবেসে বড় কোরে,
বিপদে আপদে আগলে রাখে, আবার স্বার্থের প্রয়জনে গলাটিপে মেরেও ফেলে। আচ্ছা মানুষ কি
পারে? হয়তো পারে হয়তো পারেনা হয়তো বা, ধ্যাত কি সব ভাবছি।
লেখকের মনে এখন
রং লেগেছে, রংধনুর সবকটা রঙ্গের সাথে মিশিয়েছে অমাবস্যা আঁধার চাঁদের হালকা জস্না
আর জোনাকির বাহারি রকমের টিপটাপ আলো। লেখক একটা ফাঁদ পেয়েছে, ফাঁদের নাম রিসা।
ধর্মশালয় পতিতালয় যার আশ্রয়, আর ঠিকানা। রিসা এই শহরের সবচেয়ে দামি আর সুন্দরি ব্যেইস্যা। দামি হয়ার কারনে তার খদ্দের ছিল হাতে গনা।
অনেকেই তাকে চিনত না। লেখককে লিখার খাতিরে অনেক জাগায় যেতে হয়, মিশতে হয় অনেকের
সাথে। স্থান কাল পাত্র এগুলো মানলেও ছোট বড় জাত-বেজাত কোনকিছুই মানতেন না। লিখার
খাতিরে তিনি সব করতেন। তবে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে। তার মান হানি হবে এরকম কাজ
তিনি কখনই করতেন না। তবে তিনি জানতেন রিসারা সব করতে পারে। তাই রিসাকে হাতিয়ার
হিসাবে ব্যবহার করবেন। লেখক জানতেন, লেখকের পরে রিসাকেই সবচেয়ে বেসি বিশ্বাস করে
সম্রাট। রিসাও একটু একটু সম্রাটকে ভালোবাসে, তবে টাকার চেয়ে বেসি না। লেখক কল
করলেন রিসার মোবাইল ফোনে।
লেখক- বেশ
কয়েকবার ফোন করলেন কিন্তু রিসা ফোন ধরলেন না। একটু বিরক্ত হয়ে মোবাইলটা আচড়ে
ফেল্লেন বিছানায়। কিছুক্ষণ পরে ফোনটা বেজেউঠল। লেখক দেখলেন রিসার কল। রিসিভ করলেন।
রিসা- সালাম
কবির সাহেব, সালাম। কাস্টমার নিয়ে ব্যাস্ত তাই রিসিভ করতে পারিনাই। এতো রাতে রিসার ফোনে কল শায়লা কবির বাসায় নেই
নাকি।
লেখক- তোমাকে আমি
এমন চোখে দেখেছি কখনো।
রিসা- দেখনি
দেখতে কতক্ষন। তোমার শালা সব পুরুষই এক। যতক্ষন কাজকরবে ততক্ষন রাজরানি কাজ শেসতো
চাকরানি। আচ্ছা বাদদেন এসব। এতো রাতে আমাকে সরণ করার কারন কি সেটা তো বলেন।
লেখক- ফোনে বলা
জাবেনা দেখা করতে হবে। কাল সকালে পারবে।
রিসা- সকালে
একটু নিজেকে সময় দিতে হবে, বুঝতেই পারছেন কেন। বিকেলে আসলে হবে।
লেখক- ঠিক আছে।
এর পর তাঁরা কোথায় দেখাকরবে, কয়টায় দেখা করবে এ সব আলচনা করে নিলো।
পরদিন বিকেলে
শায়লা কবির বাচ্চাদের নিয়ে তৈরি। বাচ্চারাও বেশ উথফুল্ল শিশু পার্ক যাবে বলে কথা।
লেখক তৈরি হয়েছে রিসার সাথে দেখা করতে যাবে বলে।
লেখক- কি
ব্যাপার শায়লা তোমরা কথাও যাচ্ছ নাকি।
শায়লা কবির- যাচ্ছ
নাকি মানে কি, তুমিই তো কাল বললে আজকে আমরা সবায় শিশু পার্কে যাবো । বাচ্চারাও
তৈরি। তুমি কোথায় যাচ্ছ।
লেখক- আমারতো
একটা মিটিং, দেখা করার কথা, এখন।
শায়লা কবির- এখন
তখন করে কি করবে। বাচ্চাদের কি বোলবে।
বাচ্চারা লেখককে
জরিয়ে ধরে বলল বাবা আমরা রেডি, চল তারাতারি দেরি হয়ে যাচ্ছে।
শায়লা কবির-
আব্বু-আম্মু তোমাদের বাবাকে আজকে ছুটি দিতে হবে, তার অনেক বড় কাজ পরেছে।
বাচ্চারা- তাদের
বাবার দিকে তাকালে, লেখক বল্লেন, হাঁ বাবারা আজকে আমাকে ছুটি দিলে, তোমাদের নিয়ে
যাবো কক্সবাজারে।
বাচ্চার-
প্রমিজ।
লেখক- প্রমিজ,
প্রমিজ, প্রমিজ। আর পার্কে আজকে নিয়ে যাবে তোমাদের আম্মু ওকে। আচ্ছ আমার দেরি হয়ে
যাচ্ছে আমি আসলাম।
রিসা- লেখকের
ফোনে কল দিচ্ছেন। হ্যালো, কবির আপনি কি পৌঁছে গেছেন।
লেখক- আমি পৌঁছে
গেছি, রেস্তরাঁ থেকে বলছি। তুমি কতদুর।
রিসা- এইতো চলে
এসেছি, রেস্তরাঁর সামনে আমি।
লেখক- আসতে কষ্ট
হয়নিতো।
রিসা- হু কষ্টতো
একটু হবেই। বলেন এবার জরুরি তলব কেন।
লেখক- সবেতো
আসলে, বসো, অর্ডারটা দেই। কি খাবে বল।
রিসা- ওয়েটার কে
ডেকে অর্ডার দিচ্ছেন মাঝে মাঝে লেখকের দিকে তাকাচ্ছেন সে বুঝল লেখক অন্য মনস্ক।
লেখককে ডেকে বল্লেন খুব বড় সমস্যা।
লেখক- না তেমন
বড় না, সম্রাট তোমার কাছে।
রিসা- সেতো আমার
চেয়ে আপনার ভালো জানার কথা। তার জন্মদাতা আপনি না হলেও তার চেয়ে কমতো আর না।
লেখক- ওকে মেরে
ফেলতে হবে। লেখকের কথা শুনে রিসা দারিয়ে পরে।
রিসা- হোয়াট?
মাথা কি আপনার খারাপ হয়েছে, আপনি জানেন সম্রাটকে আমি কতটা ভালোবাসি। আর আপনি আমাকে
বলছেন তাকে মারার কথা। আমি সব কিছু সম্রাটকে........ বলতেই
লেখক- আমি জানি
তুমি সম্রাটকে ভালবাস, আর তার থেকে বেশি ভালবাস টাকাকে। এর পর কিছুক্ষণ তাদের মাঝে
কথা হয়। এক সময় রিসা চলে যায়। রিসাকে ডেকে বলে।
তুমি না করলে কেউ না কেউ তো করবেই। রিসা কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেলো।
পরের দিন সকাল
টা ভালো থাকলেও দুপুর টা কেমন যেন গোমট ভাব। থমথমে পরিবেশ, চার পাশ কেমন জানি
দমধরে আছে। সূর্যটাও আজ মলিন,
বাতাসের খেলাধুলা বন্ধ। আকাশে পাখি উড়ছে নিঃশব্দে। শহরটাও কেমন চুপচাপ। ব্যস্ততাও
আজ ছুটি নিয়েছে শহর থেকে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে প্রাণহীন একটা দিন। বিকেল হতেই সারা
দেশে ছড়িয়ে পড়লো সম্রাটের মরার খবর। লাশের ময়না তদন্ত শেষ। কিন্তু লাশের জানাজা
হতে দিচ্ছেনা এলাকা বাসি। মাটিও দিতে দেবেনা তাকে। সবার একই কথা এমন লোকের মরাদেহ
শিয়াল কুকুর দিয়ে খাওয়ান উচিৎ। লেখক এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি তাকে ডাকা হল
পুলিশের তরব থেকে। লেখক আসলেন, একজন পুলিশ তাকে কিছু বলার জন্য পাশে নিয়ে গেলেন।
লেখক- আপনারা
শুনেন, আমিও চাই সম্রাটের দাফন কাফন না হোক, না হোক তার জানাজা মাটি। কিন্তু একটা
কথা ভেবে দেখেন আমরা যদি তার সাথে তার মতো ব্যবহার করি তাহলে তার আর আমাদের মধ্যে
পার্থক্য কি। কেউ বলে জানিনা, আবার কেউ বলে হ কবির সাহেব ঠিকই বলেছে। লেখক তাদের বোঝাতেয়
থাকেন আরও কিছুক্ষণ সময় নিয়ে। অবশেষে মাটি হবে এমন রায় সবার মুখে। এমন সময় একটা
পুলিশ এসে বলল স্যার আমাদের আরও কিছু ফর্মালিটি আছে এগুলো শেষ করি আর আপনার কাল
সকালে মাটি দেওয়ার ব্যাবস্থা করেন। লেখক ঠিক আছে
বলে বাড়ি ফিরছেন পথি মধ্যে দেখা হল রিসার সাথে। না কথা হয়নি তাদের। তবে ওনেক কিছুই
হয়ে গেলো তাদের মৃদুহাসি, চোখের চাহনি আর হাতের ইসারাতে।
রিসা সেদিন রেস্তরাঁ ছেড়ে চলে গেলেও আবার ফিরে আসে।
লেখক- তখনো দুই
হাত দিয়ে মুখ ডেকে বসে আছে টেবিলে।
কবে, কখন,
কোথায়, কিভাবে আর কারা কারা থাকছে এ টিমে।
লেখক- মাথা তুলে
দেখল রিসা ফিরে এসেছে। আমি জানতাম তুমি আসবে। এই নাও এর মধ্যে সব কিছু লিখা আছে।
এটা পড়া হলে পুড়িয়ে ফেলবে।
রিসা- আমার
টাকা।
লেখক- যার যার
টাকা তার তার অ্যাকাউন্ট এ।
শায়লা কবির- বাসায়
পায়চারি করছেন আর ভাবছেন আসছেনা কেন এখনো। ভাবতেই বেল বেজে উঠলো। দরজা খুলেয় শায়লা কবিরের
জেরা,
কাল কক্সবাজারে যাবে, আর এখন বাসায় ফেরা। বাচ্চারাতো তোমার পথ চেয়ে থাকতে থাকতে
ঘুমিয়ে পরেছে। এবার না করলে আমি কিন্তু বাচ্চাদের সামলাতে পারবোনা।
লেখক- না
করবোনা, কালকে সকালেই আমাদের ফ্লাইট। সকাল সাতটার আগেই আমাদের বাড়ি থেকে রহনা দিতে
হবে।
ভরের ঘোর কেটেছে
সকালের আভা লাগতে শুরু করেছে পৃথিবীতে। লেখক শায়লা আর বাচ্চারা রহনা হল
এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে পথের মধ্যে দেখা হল সম্রাটকে নিয়ে বয়ে যাওয়া খাটিয়া আর কিছু
মানুষ। লেখক স্বপরিবারে চল্ল কক্সবাজারের পথে, আর সম্রাট চল্ল দুনিয়া থেকে বিদায়
নিয়ে নতুন এক পৃথিবীর পথে।
বাবুই-এর
বাসা
বাবুইয়ের মায়ের একই কথা এ বয়সে একটু একটু দুষ্টুমি তো করবেই। এ তো আমার ছেলের দোষ নয়, এ হল বয়সের দোষ। ৯বছরের ছেলে আমার এ বয়সে তো ঢিল
ছুড়াছুড়ি করতেই পারে এতে দোষের কি?
বাবা- বাবুই সারাদিন ঢিল
ছুড়াছুড়ি করবে, কারো ঘরের চালে কারো মাথায় ফাটবে, আর তুমি বলছো কিনা তাতে দোষের
কি?
মা- আমার ছেলে তো শুধু ঢিল মারে, এখন ঢিলের তলে যদি কারো বাড়ি ঘড়, বা
মাথা এসে পরে তাতে আমার ছেলের দোষ কোথায়।
বাবা- ঢিলের তলে এসে মানুষের মাথা পরে, তার মানে ঢিল গিয়ে কারো মাথায়
পরে না এইতো। এখন থেকে একটু শাসন করতে শেখ নইলে পস্তাতে হবে।
আমরা এতক্ষন বাবুইয়ের বাবা-মা র কথা শুনছিলাম। বাবুই খুব দুষ্টু প্রকৃতির মিষ্টি ছেলে। এ গাঁয়ের এমন
কোন জায়গা নেই যেখানে তার স্পর্শ নেই। দুষ্টুমি বলতে যে কোন কিছুকে লক্ষ করে ঢিল
ছুড়া। এই ধরুন আম গাছে আম, একটি আমকে নির্দিষ্ট করে ঢিল ছুড়া। মাথায় করে কোন বোঝা
নিয়ে যাচ্ছে, বোঝাকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়া। কেউ কলস নিয়ে যাচ্ছে, কলসকে লক্ষ করে ঢিল
ছুড়া। উড়ন্ত বা বসে থাকা পাখিকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়া। পুকুরে মাছ ধরছেন ছিপের ফাতনা
কে লক্ষ করে ঢিল ছুড়া। মজার
বিষয় হল আম খাওয়া কিন্তু তার উদ্দেশ্য নয়, বোঝা ফেলে দেওয়া বা কলস ভেঙ্গে দেওয়াও
উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য নয় পাখিকে মারা বা মাছ যে ধরছে তাকে বিরক্ত করা। তার
উদ্দেশ্য একটায় স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে যে তালগাছ টা পড়ে ঐ তালগাছে বাবুই পাখির
অনেক গুলো বাসা বাতাসে দোল খায় সারাদিন। শিশু বাবুই, বাবুই পাখির কাছে একটা বাসা চাই।
বাবুই পাখি, শিশু বাবুই কে তার বাসা দেবেনা। শিশু বাবুই তালগাছে উঠার চেষ্ঠা করেছে
কিন্তু পারেনি। আর তায় শিশু বাবুই স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে রোজ ঢিল ছুড়তো তালগাছে
দোল খাওয়া বাবুই পাখির বাসায়। কখন লাগত আবার কখনো লাগতনা। কিন্তু বাসা পাড়তে
পারেনি। শিশু বাবুই
আশা ছাড়েনি একদিন না একদিনতো সে পারবেই।
বাবুই সেদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবার ঢিল ছুঁড়ল কিন্তু ঢিলটা
গাছে লেগে ঘুরে এসে ফাটালো একজন পথচারির কপাল। পথচারির সাথে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকা লোকটি বলতে লাগলো, মেরে ফেল্লরে হুজুর কে মেরে ফেলল বলে বাবুই কে ধরার জন্য
এগতে লাগলো। লোকটি বলল লালু, লাঠিওয়ালা লোকটি থেমে গেলো। পথচারির সাথে যে লোকটি
ছিল তার নাম লালু। আর লোকটি বলল আমিই দেখছি। বাবুই ভালো করে দেখে সে লোকটাকে চেনে,
চেনে বলতে তার বাবার সাথে কথা বলতে দেখেছে। তার ঝাপসা ঝাপসা মনে হচ্ছে যে, লোকটি তার বাবাকে
শুধু বকা দিত। আর চলে যাওয়ার কথা বলতো।
লোকটি কপালে হাত দিয়ে বাবুইয়ের কাছে আসলো। বাবুই বেশ ভয় পেয়েছে, তার উপর আবার
লোকটির হাসি। এতো সুন্দর করে এমন অদ্ভুত
হাসিও মানুষ হাসতে পারে শিশু বাবুইয়ের সেটা জানা ছিলনা।
লোকটি- কেরে বাছা, কি নাম তোর। মেরেতো কপালটা ফাটিয়ে দিলি।
বাবুই- একটু নির্ভয়েই বলল, আমার নাম বাবুই। আমিতো ইচ্ছে করে মারিনি,
আমি যে ঢিল ছুড়েছি সেটা ঐ গাছে লেগে আপনার গায়ে লেগেছে। আপনাকে আমি ইচ্ছে করে
ব্যাথা দেয়নি, আমায় ক্ষমা করে দিন।
লোকটি- তোর বাবার নাম কিরে? বাড়ি কোথায়?
বাবুই- বেলাল, আমার বাবার নাম বেলাল হোসেন। আর বাড়ি হিজলতলি এটায় আমার
গ্রাম বলেই, দুই হাত দু দিকে প্রসারিত করে ছুটতে লাগলো বাড়ির দিকে।
বেলাল হোসেন, হাঁ বাবুইয়ের বাবার নাম। বাবুই আর তার বাবা-মা তিন জনের
সংসার। তাদের দিয়ে এ গাঁয়ের লোকের উপকার হোক আর না হোক, ক্ষতি কারো হয়নি। যখন
পেরেছে , যে ভাবে পেরেছে, যতটুকুই পেরেছে অন্যের উপকার করেছে। এইতো কিছুদিন আগের
কথা, প্রায় মধ্যরাত। চারি দিক সুনসান, ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। ঘুমে চুপ চাপ পুরো হিজলতলি,
হালকা জোস্নায় ভাসছে গ্রাম। বাবুইদের বাড়িতে দরোজায় কড়া নড়ছে। ঘুম ভাঙ্গল বাবুইয়ের
বাবা-মা র।
বেলাল- কে, দরোজায় কে?
গফুর- বেলাল আমি গফুর, দরজাটা খুল তাড়াতাড়ি।
বেলাল- বাবুইয়ের মায়ের দিকে তাকিয়ে, কিছু বোঝাতে চাইছে।
বাবুইয়ের মা- কই, যাও আগে দরজাত খুলো, দেখো। বেলাল দরজা খুলতেই,
গফুর- তোমার গরুর গাড়িলাগবে, ভাবি আপনাকেও একটু যেতে হবে আমাদের সাথে।
না করবেন না ভাবি, কথা শেষ না হতেই
বাবুইয়ের মা বলল- কি হয়েছে সেটাতো আগে বলবেন, ভাবির অবস্থাকি খুব
খারাপ।
গফুর- অনেক ক্ষন আগে বেদনা উঠছে, কি করবো ভেবে পাচ্ছি না তুই তারাতারি
ভ্যানগারিটা নিয়ে আই আমি গেলাম। যেতেই থেমে গেলো গফুর। কি একটা পিছু টান। কি যেন
বলতে চাইছে।
বেলাল- কিছু বলবি?
গফুর- যদি কিছু টাকা দিতে পারিস নিয়ে আসিস বলেই ছুটল বাড়ির দিকে।
বাবুইকে আর বাবুইয়ের মা কে
সাথে করে ভ্যান নিয়ে চলল বেলাল। প্রথমে ডায়মার বাড়ি তার পর গফুরের বাড়ি। সারা রাত
সব গফুরের উঠনে।
বেলাল প্রকৃত ভ্যানচালক না, তবে মাঝে মাঝে চালাতে হয়। সে জোরদারের
বাগানে কাজ করে, কখনো আবার আড়তে। জোরদারের নাম কৃষ্ণ ভট্ট, জোরদার তার উপাধি।
কৃষ্ণ ভট্ট বললে অনেকে চেনেনা, তবে জোরদার বললে আস-পাশের দশগাঁয়ের লোক চিনে। গায়ের
জোরে রাজত্ব করে আসছে বংশ পরাম্পরায়। লোভ-লালশা
তার এক মাত্র বন্ধু। অন্যায় আর অবিচার তার পরম আত্নিয়। তার কাছে ভাত-মাছের চেয়ে
প্রিয় মেয়ে মানুষ, আর তার চেয়ে প্রিয় জমি। শকুনের দৃষ্টি তার, কারো সর্বনাশ করতে
বেশি সময় নেয়না। সে নিজেকে ঈশ্বর মনে করে। এখানকার লোকেদের বাচা-মরাও যেন তার হাতে। আড়তে অনেক লোক কাজ
করছে, এর মধ্যে বেলালও একজন। জোরদার আড়তে ঢুকতেই বেলাল চলে আসলো।
বেলাল- হুজুর আপনার কপালে কি হয়েছে।
লাঠিয়াল- তোমার ছেলে ঢিল মেরে হুজুরের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
বেলাল- আমার ছেলে।
জোরদার- হু, তোর ছেলে।
বেলাল- হুজুর মাফ করে দেন, ও না দেখেই, বেলালের কথা শেষ না হতেই ।
জোরদার- আহ, এত কথা কেনরে বাপু। আমি তোমায় কিছু বলেছি। যা কাজে যা
এখন। বেলাল জেতেই, আবার জোরদারের ডাক। বেলাল শুনে যা।
বেলাল – জি হুজুর।
জোরদার- আসার সময় তোর বাড়ি হয়ে এলুমরে। জোরদারের কথা শুনে বেলালের
পিলে চমকে গেলো। বেলালের পৃথিবী যেন থমকে গেলো জোরদারের সামনে। জোরদারের কথাগুলো
ব্জ্রপাতের মতো পড়ছে বেলালের মাথায়। বেলাল
নিঃচুপ স্তব্ধ তার পৃথিবী, করজোড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে জোরদারের সামনে। অতীত কিছু সৃতি মনে
করতে না চাইলেও এসে ভীর জমাচ্ছে চোখের সামনে। সৃতিগুলোও জোরদারের মতো জোর করতে
চাইছে বেলালের জীবনে।
জোরদার- কিরে কি ভাবছিস?
বেলাল- (চমকে উঠে) উত্তর দিলো কিছু না হুজুর বলুন।
জোরদার- কপালটা খুব ব্যাথা করছে রে, মাথাটাও কেমন যেন ঘুরছে, শরীরটা
কেমন ম্যাচম্যাচ করছে হাত পা গুলো টিপে দেওয়ারতো একটা লোক লাগে। কি বলিস রে লালু।
লালু- জি হুজুর ছেলে মাথা ফাটিয়েছে, আর ছেলের মা এসে সেবা করবে। আপনার
ফাটা কপাল জোড়া লাগিয়ে দেবে। আপনিও তার একটু সেবাযত্ন করলেন আর কি। এতো সুন্দর
বিশ্রি অঙ্গভঙ্গী করে কথা গুলো বলছিল যে, বেলালের তো বটেই আড়তে কাজ করা অন্যদেরও
রক্ত ফুটতে শুরু করেছে। কিন্তু জোরদারের সামনে সবায়তো পিঁপড়ে যেমন।
জোরদার- তুই কি বলিস রে বেলাল। জোরদারের কথাশেষ না হতেই পাশ থেকে লালু
বলে উঠল, বেলাল আর কি বলবে হুজুর। ওর হয়ে আমিই বলে দিচ্ছি, হুজুরের যা মর্জি।
বেলাল- জোরদারের পায়ে লুটিয়ে পড়লো, আর বলতে থাকলো হুজুর আমায় ক্ষমা
করে দিন।
জোরদার- হাত বুলিয়ে দিচ্ছে বেলালের মাথায়, এ হাত যেন বড় মমতার এ হাত
যেন পরম স্নেহের। জোরদারের হাত বুলানোর ধরন নিরাপদ আশ্রয়ের মতো হলেও তা কিন্তু নয়।
বেলালের মাথায় হাত রেখে জোরদার কি যেন সব বলছেন। লালু ও ঠিক মত শুনতে পাচ্ছে না,
তবে শোনার জন্য কানে হাত দিয়ে কানপেতে থাকলো আধির আগ্রহ নিয়ে। লালু কিছু একটা
শুনতে পাচ্ছে। জোরদার বলছিল তোর বউটা কিনতু খুব সুন্দর, যেমন সুন্দর তেমন গায়ের
গড়ণ, ধরে মজা পাওয়া যাবে বেশ নরম নরম। গায়ের রং টা দেখেছিস ওটাতো আমার সাথেই যাই। আদরের কমতি হবেনা রে, ভালবাসার অভাব হবেনা। যে কদিন
রাখব বুকে থেকে নামাবো না।
বেলাল- মাথা নাড়িয়েই কেবল না বঝাতে থাকে। হঠাৎ বিকট শব্দ করে বেলালের
বুকে জোরে লাথি মেরে উঠে দাড়ালো জোরদার। ততক্ষণে মেঝেতে লুটিয়ে পরেছে বেলাল। থমথমে
চারপাশ, পুরো আড়ত যেন কম্পিত জোরদারের হুংকারে। তবে রে হতচ্ছাড়া, মুখে মুখে কথা নাড়া।
দেখা যাবে তবে, ক-দিন থাকিস এ গাঁয়ে। আজি হতে বন্ধ এ দুয়ার, আসেনি যতদিন বুকেতে
নায়র। ততক্ষনে বেলাল উঠে দারিছে, দারিয়ে আছে করজোড়ে নতজানু হয়ে। । লালুর অবস্থা
এমন যেন বঞ্চিত সে কোনকিছু থেকে। অন্যরা সব ঠায় দারিয়ে দাবার গুটির মত।
বাড়ি ফিরল বেলাল। বাড়ি ফিরে দেখে বাবুই কে খয়াচ্ছে তার মা। মা-ছেলের
খাওয়ার ছলে কতই না খেলা। তাদের দেখে বেলাল ভুলে গেলো কিছুক্ষন আগের কথা। তাদের
ছোট্ট বাড়িতে যেন স্বর্গ নেমে এসেছে। বেশিক্ষন
ভুলে থাকতে পারলনা বেলাল। মনে পড়ে গলো জোরদারের কথা, তার হায়েনার মত দৃষ্টির কথা,
হিংস্র থাবার কথা। বসে পড়লো ঘরের উঠনে কাঁচা মাটিতে। আর খুজতে লাগলো জোরদারের
বিষাক্ত ছোবল থেকে বাচার উপায়। বেলাল কোন পথ খুজে পায় না কি করবে সে, শেষ সম্বল
বাপ-দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যাবে, চলে যাবে এ গাঁ ছেড়ে নাকি বউটাকে পাঠাবে
নায়রে। সবই গেছে জোরদারের কবলে। এ বার
বাড়িটাও যাবে, নাকি বাড়ি বাচাতে বউ টাকেই। জোরদার যেন নদীর এককুল, আর আমরা যেন অন্যকুল, আমাদের ভাঙ্গে আর তার গরে
শুধু গড়ে। না বেলাল বাবুই কে কিছুই বলেনি। আর বোলবেও না। জোরদারের এ চাওয়াত আর নতুন না।
বাবুইয়ের মা- কি হয়েছে তোমার বসে পরলে যে, মনটাও খারাপ কেমন লাগছে।
কোন সমস্যা। কথা নেই বেলালের মুখে। কি বা বলবে, কোথা থেকে শুরু করবে। কিছুই তার
জানা নায়। অবাক চোখে তাকিয়ে আছে বাবুইয়ের মায়ের দিকে।
বাবুইয়ের মা- কি হয়েছে বলবে তো। বেলাল তার বউ কে জড়িয়ে ধরল। কিছু একটা
বলতে চায়ল কিন্তু পারলনা। না বলেই যেন পালিয়ে গেলো ঘরের ভিতরে। পিছে পিছে গেলো বাবুইয়ের
মা। বাবুই ততক্ষণে তালতলা নইলে খেলছে কথাও ঢিল ছুড়াছুড়ি।
জোরদার আর লালু হাটছে, পিছু পিছু আসছে আরও চারজন, যারা তার বিশ্বস্ত
লাঠিয়াল।
জোরদার- লালু।
লালু- জি হুজুর।
জোরদার- বেলাল কবে নিয়ে আসবে তার বউকে। তোর কি মনে হয়?
লালু- হুজুর কালকের দিন টা যেতে দিন পরশুই চলে আসবে, যাবে কোথায়।
জোরদার- তাহলে তো অনেক কাজ বাকি।
লালু- জি হুজুর, জোরে চলেন বেলা ডুবে এলো যে।
রাত যত গভীর হচ্ছে বেলালের ভাবনা তত গাঢ় হচ্ছে। ঘুম আসছেনা বেলাল আর তার
বউয়ের। এখনো বেলাল কিছুই বলেনি তার বউ কে।
বাবুইয়ের মা- কি হয়েছে এখনো তো কিছুই বল্লেনা।
বেলাল- কি বোলব, শুনতে চাও কি হয়েছে। জোরদার আজ তোমার কথা বলছিল। তোমাকে
নায়রে যেতে বলে। আরও সব বলতেই দেখে নিল বাবুই কে। বাবুই তখন গভীর ঘুমে অন্য জগতে। তাল গাছ থেকে পেরেছে বাবুই পাখির বাসা। কত সুন্দর সে বাসা কত
নিখুত করে তৈরি করা। সে দেখল ডিম
নেই, নেই কোন পাখি। সে বাসাটা তার মাকে দেখানোর জন্য দৌড়াতে লাগলো বাড়ির দিকে। বাড়ি যেখানে ছিল সেখানে বাবুই থামল।
কিন্তু বাড়ি খুজে পাচ্ছেনা। বেলা্ল সব কথা খুলে বলল।
বাবুইয়ের মা- এখন কি হবে। আমার,
আমার তো খুব ভয় করছে গো।
বেলাল- ভয় পাওয়ারই তো কথা।
বাবুইয়ের মা- তুমি কি ভুলে গেছো। রমিজ ভাই, আমেনা বুবু আর অন্যদের
কথা।
বেলাল- ভুলবো কি করে, চখের সামনেই তো পাগল হয়ে ঘুরে বেরায় লকটা।
জোরদার জোর করে ওর বউটাকে তুলে নিয়ে গেলো সবার সামনে দিয়ে। ১৫ দিন পরে যখন আসলো সে
কি অবস্থা মেয়েটার। বারিতেও ঠায় পেলনা বেশি দিন। সব দোষ যেন তার। কেও তার দিকে
ভালভাবে চাইলোও না। রমিজ ভাই খুব ভালবসতো তার বউটাকে। কখনো কিছু বলেনি। তার
জন্যয় বেঁচে ছিল ২/৪ দিন। তারপর
সমাজের লাঞ্চনা সইতে না পেরে জীবন দিলো নদীতে। সেই থেকে পাগল হয়ে গেলো রমিজ ভাই।
লাশটাও খুজে পেলোনা কোথাও। যে সমাজ তাকে রক্ষা করতে পারেনি, সেই সমাজ কে সে মুক্ত করে
দিলো তার জীবন দিয়ে। আর আমেনা বুবু নিজের ইজ্জত বাচাতে প্রাণ দিলো গলায় শাড়ি
পেঁচিয়ে।
ঘুমের ঘরেয় হাপাচ্ছে বাবুই, বাড়ি খুজে পাছে না তাদের। চিৎকার করে
ডাকছে মাকে, মা......মা....মা.....।
বাবুইয়ের মা বাবুইকে কলে তুলে নিতেই ঘুম ভাঙল বাবুইয়ের।
বাবুইয়ের মা- কি হয়েছে বাবা, এই যে আমি। স্বপ্ন দেখেছো বাবা, খারাপ
স্বপ্ন।
বেলাল- কিছু হয়নি বাবা এইতো আমরা সবাই আছি।
বাবুই – মা আমি স্বপ্নে দেখলাম আমাদের বাড়ি নেই। আমি বাড়ি খুজে
পাচ্ছিনা। বাবুই কে বুকের সাথে জরিয়ে ধরল তার মা। নির্বাক হয়ে তাকিয়ে বাবুইয়ের
বাবা-মা এঁকে অপরের দিকে।
রাত শেষ হল, ভোর হল, শুরু হলো নতুন আরেকটা দিন। তবে আজকের সকাল, আজকের দিন তাদের কাছে
অন্য রকম। টক, ঝাল, মিষ্টি, তিতো বা পানসে কোনটায় না। প্রতিদিনের গোছাল আয়োজন নষ্ট
হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে তাদের অন্য সব কষ্টরা। গতকালের সেই মহামূল্যবান জীবন, সেই আকাশ বাতাশ সেই ঘরবাড়ি, উঠন চন্দ্র
সূর্য আজ সব মুল্যহীন। বেলালের কাছে আজ মূল্যহীন বেঁচে থাকার লড়ায়।
কাজের উদ্দেশ্য গরুর গাড়িটা নিয়ে বের হল বেলাল। জানে এ শ্রম তার বিফলে
যাবে। কারন এখন সে এক ঘরে। জোরদারের কথায় বউ না দিলে একঘরে। ১দিন পার হলে বউ বাড়ির
জাগা-জমিন সব তার। ২দিন হলে ঘর বাড়ি
জালিয়ে দেবে, ছাই করে দেবে সব। পিশে ফেলবে মাটির সাথে। যেমন করেই হোক তার চায়। যা
তার চোখে লেগেছে তার স্বাদ জোরদার নেয়নি এমন টা আজ অবধী হয় নি। তবুও বসে থাকার লোক
সে নয়। গাড়ি টানতে লাগলো বেলাল। এক সময়
হাটে পৌছে গেলো বেলাল। তাকে কেউ কাজে নিচ্ছেনা তার গাড়ি কেউ ভাড়া
করছেনা। এমন ভাব অন্যদের যেন অপরিচিত কেউ। জোরদারের ভয়ে কেউ কথাও বলছে না বেলালের
সাথে। গফুর ও আছে সে হাটে।
বেলাল- গফুর আরতো কোন গাড়ি নাই শুধু আমারটাই আছে চল যাই।
গফুর- আমায় মাফ করে দাও, তুমিতো সবই জানো তার পরো বিপদে কেন ফেলতে
চাইছ।
বেলাল- এত বড় বোঝা নিয়ে, এতটা পথ যাবি কেমন করে।
গফুর- আমার চিন্তা আমায় করতে দাও। আমি গেলাম।
বেলাল খালি গাড়ি নিয়েই ফিরল বাড়ির পথে। পথিমধ্যে দেখল একটি শিশুকে
ধুলিবালি মাখা। গাঁয়ে ছেড়া জামা আর প্যান্ট। কার বুকের ধন মানিক-রতন লুটে আছে
ধুলিকনায়। একটু কষ্ট হলেও নবাবকে চিনতে পারে বেলাল। নবাবের মা-বাবা বেঁচে থাকতে
নবাবের মতয় রেখেছিল তাকে আর আজ কোথায় পড়ে আছে। নবাবের মা-বাবার কথা মনে পড়ে গেলো
বেলালের। বেলালের বাবা ছিল প্রতিবাদি। হাটে
একবার জোরদারের প্রতিবাদ করেছিল, এক ঘরে আইন মানেনি মানেনি তার অন্যায় বিচার গুলি।
এর পরে আর খুজে পাওয়া যায়নি নবাবের বাবাকে।
লালু- লালু এসে নবাবের মা বলে জোরদারের সাথে দেখা কর। ক্ষমা চাও তার
কাছে। ফেরত চাও তোমার স্বামীকে। দেখো তাহলে অন্তত কোন খবরতো পাওয়া যাবে।
নবাবের মা- যাবো। আমি যাবো, আমাকে যেতেই হবে জোরদারের কাছে বলতে বলতে
বেরিয়ে গেলো আর ফিরলনা। নবাবদের সেই বাড়ি এখন লালুর দখলে। আর নবাব আজ পুরো দুনিয়ার
নবাব। পুরো পৃথিবী আজ তার ঠিকানা।
বেলালের ঘোর কাটলো জোরদারের ঘোড়ার শব্দ শুনে। বেলাল বাসায় পৌছে
গেছে ততক্ষণে। বেলাল দেখল তার বাড়ির সামনে জোরদারের ঘোড়ার গাড়ি। সে
তাড়াতাড়ি করে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো। বেলাল দেখল দল বল নিয়ে জোরদার তার বাড়ির উঠনে।
জোরদার- বেলালের বাড়িতে এসে হাজির। কিরে তৈরি করেছিস তোর বউ কে নাকি
বউ বাড়ি দুটি খয়াবি। ভিতর থেকে বাবুইয়ের মা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল তৈরি আজ রাতেয়,
শেষ করতে পারেনি কথাটা বাবুইয়ের মা। জোরদারের পা ধরে বাচার আকুতি জানাচ্ছে বেলাল।
জোরদার- লালুরে এটাকে সরা। লালু সরাতেই জোরদার বলল থাক থাক। আচ্ছা
বেলাল তোর ও তো সাজা হওয়া দরকার।
বেলাল- দিন হুজুর আমাকে সাজা দিন, তবু আমার বউটা কে মাফ করে দেন।
জোরদার- লালুরে। লালু হাজির জোরদারের ডাকের আগেই।
লালু- বলুন হুজুর।
জোরদার- বেলাল যে তার বউকে নিয়ে যেতে ১দিন দেরি করল, তার জন্য তো তার
সাজা পাওয়া উচিৎ।
লালু – জি হুজুর।একশত বার সাজা পাওয়া
উচিৎ।
জোরদার- কি সাজা দেওয়া যায় বলতো?
লালু- হুজুর নায়রের সময়টা বাড়ায়ে দিন।
জোরদার- নারে আমারওতো শরীর বলে কথা। আর বেলাল হল আমার নিজের লোক। এত
বে রহম হসনে। আর কি করা যায় সেটা বল।
লালু- মাথা চুলকাতে লাগলো, একটু পায়চারিও করছে। ভাব খানা এমন যেন মোড়ল
সে এ গাঁয়ের। পেয়েছি হুজুর।
জোরদার- আরে বল, তাড়াতাড়ি বল।
লালু- হুজুর বেলালের বউত আপনার ঘরে যাবেই, আর নিয়ে যাবে বেলাল নিজেই।
এটায় ওর সাজা।
বেলাল- এখনো জজোরদারের পায়ে পড়ে আছে। আর হুজুর হুজুর করছে।
জোরদার- কইরে তরা সব কথয় গেলি। সরা এ পাগলটা কে। লালু ইশারা করল
জোরদারের পিছনে দারিয়ে থাকা লাঠিয়ালদের, সরাও ওকে। জোরদারের পিছনে দারিয়ে থাকা
লাঠিয়াল এসে সরিয়ে দিল বেলাল কে। জোরদার চলে যেতেই ঘুরে আসলো বেলালের কাছে।
বেলালের কানে গিয়ে বলল। ঠিক সময় করে দিয়ে আশিস নইলে, আমার এঠো ওরা খেতে খুব
ভালোবাসে। আর ওরা খেলে কিন্তু সবায় এক সাথে খায়। একে একে না। এরপর সুন্দর করে বিশ্রী একটা হাসি মুখে একে চলে
গেলো জোরদার।
সন্ধ্যা হয়ে এলো। বাবুইয়ের
বাবা বাসাতে ঢুক্তেই বাবুইয়ের ‘মা’ বলল বাবুই বাড়ি ফিরেনি এখনো।
বেলাল- ফিরবে এখনো খেলছে কোথাও।
বাবুইয়ের মা- কান্নার স্বরে বলল, সকালে জোরদার কি বলেগেল মনে নাই। ওরা
যদি বাবুইয়ের, বলতেই বাবুইয়ের ডাক শুনতে পেল তার মা।
বাবুই- মা মা মা ওমা, তার মাকে ডাকতে ডাকতে বাড়িতে আসলো। বাবুইয়ের মা বাবুইকে বুকে জরিয়ে ধরল। তখন কাঁদছে
বাবুইয়ের মা
বাবুই- কাঁদছ কেন মা, কি হয়েছে তোমার। বাবা কি তোমায় বকেছে।
বাবুইয়ের মা- না বাবা তোমার বাবা কি আমায় বকতে পারে।
বাবুই- তা হলে তুমি কাঁদছ কেন।
বাবুইয়ের মা- আজ আমি বেরাতে যাবো।
বাবুই- আমিও যাবো কি মজা।
বাবুইয়ের মা- না বাবা তুমি আর তোমার বাবা বাসায় থাকবে।
বাবুই- আমি যাবো, আমি যাবো।
বাবুইয়ের মা- তুমি না থাকলে তোমার বাবা একা ভয় পাবে।
বাবুই- আমি না থাকলে তুমিও একা ভয় পাবে। আমি যাবো।
বেলাল- তোমার হাতে কি বাবুই।
বাবুই- বাবুই পাখির বাসা বাবা।
বেলাল- তুমি,
বাবুই- এক বড় ভাই যাচ্ছিল, আমায় ঢিল দিতে দেখে সে ঢিল দিয়ে পেরে দিল। জানো
বাবা বাসাটা পরে গেলো, আর পাখিটা ফুরুথ করে উরে গেলো।
সন্ধ্যা হল, রাত হল, রাত আরো গভীর হল। বাবুই ততক্ষণে বাবুইপাখির বাসা
নিয়ে ঘুমিয়ে পরেছে।
বাবুইয়ের মা- গরুর গাড়িতে এসে বসলো।
বেলাল- বাবুইকে কোলে নিতেই ভাঙ্গে বাবুইয়ের ঘুম। বাবুইকে তার মায়ের
কোলে রেখে গরুর গারিতে হ্যারিকেন বাঁধল বেলাল। রাস্তা দেখার জন্য নাকি সামনের ভবিষ্যৎ দেখার জন্য। কে বা তা জানে।
এর মাঝে জোরদারের লাঠীয়ালরা বাবুইদের বাড়িতে হাজির। তারাদেখল বাড়িতে
তালা মারা। হাসতে হাসতে চলে গেলো তারা।
লালু- কি খবর।
লাঠীয়ালদের একজন- বেলালরা আসছে, বাসায় তালা মেরে বাড়ি থেকে বের হয়েছে।
লালু আর কিছু না বলে চলে গেলো ভিতরে।
জোরদার- নেশা করে অপেক্ষা করছে। লালুকে দেখেই বলল কিরে এখনো আসেনি।
লালু- জি হুজুর আর কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসবে।
জোরদার- বেলালের বউটা খুব সুন্দর আমি ওকে আর যেতে দেবনা। কোথায় ও কোথায় সে।
লালু- চলে আসবে হুজুর। আপনি ততক্ষনে নেশাটা একটু কমিয়ে নিন। নইলে মজা
পাবেন নাতো।
জরদার- আর কত দূর লালু।
বাবুই- বারবার প্রশ্ন করছে আর কত দূর বাবা।
বেলাল- আর বেশিদূর নেই বাবা তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।
বাবুই- তোমার গরুর গাড়ির শব্দে কি আর ঘুম আসে। বলতে বলতে বাবুই তার
মায়ের কোল ছেড়ে বাবার কোলে গিয়ে বসলো। আর তার কোলে রাখল বাবুই পাখির বাসাটা। তার বাবার হাত থেকে গরুর লাঠি নিলেও লাগাম তার
বাবার হাতে। হৈ হৈ গরু ডাইনে যা ডাইনে যা পঙ্খীরাজের মতো যা।
বাবুইয়ের মা- চোখ মুছতে মুছেতে টোপার বাহিরের দিকে আসলেন। মুক্ত আকাশ
দেখছে এমন ভাবে দেখছে যেন এটায় তার শেষ দেখা। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে এমন করে
নিচ্ছে যেন এটায় তার শেষ নিঃশ্বাস। সে চারপাশটা একবার ভালো করে দেখল, রাত আর রাত নাই ভরের আভা লেগেছে আকাশে। এই পথঘাট এই পরিবেশ এই সব
কিছুই অচেনা লাগছে তার কাছে। সে বুঝতে পারল জোরদারের জুলুম তারা অনেক দূরে ফেলে
এসেছে। ফেলে এসেছে সে গাও গ্রাম। গরুর গারিতেই হামুগুড়ি দিয়ে আসলো বাবুইয়ের বাবার
কাছে। বাবুইয়ের মা পেছন থেকেই জরিয়ে ধরল বাবুইয়ের বাবাকে। যেমন করে আকড়ে ধরে থাকে
গাছ মাটিকে সে ভাবেই আকড়ে ধরে থাকলো বাবুইয়ের মা বাবুইয়ের বাবাকে।
বাবুইয়ের মা- আমরা কথায়
যাচ্ছি।
বেলাল- জানিনা, যে খানে জোরদারের জোর থাকবে না, এমন কোথাও। নতুন করে বাচার জন্য নতুন কোথাও যাচ্ছি, এ টুকুই
জানি। বাবুই তখন বাবুই পাখির বাসা নিয়ে খেলছে।
বেলালের এক হাতে পরিবার থাকা গরুর গাড়ির লাগাম, অন্য হাতে হ্যারিকেন।
কে জানে এই হ্যারিকেনের আলোয় সে আগামির আলো পাবে কি না!!!.........
*******
ছোট ছিমছাম বড় মনোরম
হিজলতলি, সে গাঁয়ের নাম
যতদূর পানে চায় তারায় তারা
মমতার বাঁধনে আছে সব ঘেরা
ছায়াই ছায়াই শীতল সে মাটি
বিধাতা সাজায়েছে করে পরিপাটি।
সবে একসাথে যেন এক-ই পরিবার
Home of starlings
Babuiyera mother at the same age, I expect a little lark. It is not my son's fault, the fault of the age. At the age of 9-year-old boy, I could be wrong but what churachuri stone?Churachuri mother starlings will throw all day, somebody's head will explode in the room move, and if you say what is wrong in it?Mother of my son, just throw strikes, anyone home at the foot of the stone from ghara, or head, and then it is my son's fault.Mother came under stone from the man's head, the head of one of the stone does not mean that's it. Otherwise, learn to rule from now on will not regret it a bit.We babuiyera duration of listening to parents. Sweet nature starlings very naughty boy. There is no place in the village where there is no touch. Lark noticed a stone throw anything to say. Hold the mango mango tree, a stone throw me in particular. The head of a burden, the burden of fire and stone. None of the pitcher is going to throw a stone kalasake notice. Millions of birds flying or sitting by the fire stone. Sinker phatana pond fishes who throw stones notice. The funny thing is eaten uncooked, but it is not its purpose, it is understood that the purpose of breaking down and thrown into the pitcher. Dead bird or fish that is not the purpose of pointing to annoy him. Its objective way to and from school in the above reading, palm trees sway in the wind takes the talagache starlings nesting in the house all day long. Children starlings, starlings from bird like a home. Baya weaver birds, starlings child who does not allow his home. Children are trying but could not reach talagache starlings. And goeth his way to and from school every day starlings children threw stones at birds starlings talagache vacillate. When it was sometimes did not mind. But the house did not yield. Children starlingsOne day he left not expect ekadinato come on.Threw stones at it again on his way home from school that day, starlings, but hit a tree dhilata phatalo came a roving around the forehead. Pedestrians standing man with a stick and began to speak of, sir phellare who killed him is to catch the starlings began egate. He said Lalu, lathioyala he was stopped. Lalu was the name of the man with pedestrians. And he said, I am seeing. And he knows him well starlings, to speak with her father has to know. It seems that his fuzzy fuzzy, he would talk to his father only. I spoke to leave. He came to babuiyera forehead with his hand. Fears of starlings over the man's smile again. This is pretty strange laugh that people did not know what to babuiyera children laugh.Lokati shook sort, what is your name. Mereto kapalata Delhi shattering.Babui little nirbhayei said, my name starlings. I want not hit you, I hit rock your body likes that tree blowing it. I did not want to hurt you, forgive me.Hello lokati your father's name? Where is home?Babui Belal, Belal Hossain, my father's name. The home hijalatali's in this village because of my two hands, the two were running toward home stretch.Belal Hossain, yeah babuiyera father. And his parents, three family starlings. The village of whether or not they benefit from them, did anyone harm. When has that way managed adequately, has had another benefit. Just a few days ago, around midnight. Demi four aspects, cricket digit. Quiet sleep the whole hijalatali pressure, light josnaya floating village. Babuidera doors of their home, moving rings. Babuiyera woke up to the parents.Who belala, who doors?Belal gaphura I Ghafoor, quickly open the door.Belala babuiyera looked at his mother, trying to convey something.Where babuiyera mother, darajata before the Open, on. Belal opened the door,Gaphura garilagabe your cow, I think I will go with you too. Do not think, while he yet spakeWhat has happened to the mother babuiyera balala setato say before, I think abasthaki very bad.Gaphura a lot of pain before becoming ksana, I do not think you bhyanagarita soon as I went to the eye. Ghafoor was stopped sooner. What a pull back. What he wants to say.
Belala say anything?Tried to give some of the money was to come any closer gaphura ran toward the house.The van took babuike babuiyera mother with Bilal. Dayamara Gafur home after his first home. Gafur uthane all night.Bilal the van, but sometimes run. She works for strengthening the garden, never again Arate. Strengthening the Krishna Bhatta, strengthen its title. Krishna Bhatta said many knows, however, said to strengthen the Al-side dasagamyera China. Paramparaya tribe kingdom has been forcefully. Greed is one of his only friend-lalasa. Relative and absolute evil of injustice. Rice-fish than people dear to her daughter, and her beloved land. Vultures vision, does not carry more than anyone to defeat. He thinks God. Bacha-marao the people in his hands. Arate many people are working in one of Bilal. Bilal came to strengthen Arate penetrate.What happened to your forehead belala Master.Lathiyala stoning to death of your son's head exploding lord.Belala my son.Joradara Hu, your son.Belala Lord forgives, and without seeing, speaking before Belal.Joradara Ah, so much the man kenare. I said something. Which is now used. Belal jetei, and strengthen digit. Belal to hear.Belal - Yes sir.Joradara elumare coming out of your home. Belal was startled to hear about boosting pills. Belal was stunned to strengthen the presence of the world. Belal is on strengthening the words bjrapatera. Belal nihcupa stunned his world, to strengthen karajore standing in front of a stretch. Some do not even come to mind memories of the past are saving the sight of the crowd. Belal srtiguloo wants to strengthen the life force.Hello joradara what do you think?Belala (startled) answered the sire say anything.Joradara
kapalata rays hurts too, how the revolving head, hands and feet are the
body myacamyaca how a man takes down the deoyarato. What do you think Ray Lalu.Yes sir lalu head exploded son, mother and son will serve there. Twisted pair and attach to your forehead. What made him a little care. This is pretty lousy speech gestures that are saying, as well as Arate Belal has begun work on the blood of others. But before strengthening as sabayato ant.You tell me what joradara Ray Belal. Before kathasesa Lalu said to strengthen the side, Bilal and say sir. I would say that I am, my lord, you win.Belala strengthening the legs fell down, and began to say the Lord forgive me.Belal joradara are patted on the head, the hands in the hands of the little pity. Shaking the strengthening of the safety, but it is not. Belal put his hands on what they all say tightening. Just like Lalu and can not hear, but to listen with the ears were kanapete adhira of interest. Lalu hear something. Now therefore strengthen your Wife is very beautiful, as beautiful as build: creams, soft, soft to the fun to be found. That's seen go with my skin color. Ray will not be shortage beloved, not lack of love. Drive to the chest in a few days will not.Not only is bajhate nariyei belala head. Belal kicked in the chest with a loud noise suddenly stood up and strengthened. Bilal then collapsed on the floor wearing. Around tense, trembling like to strengthen the agency hunkare. But damn rays, to shake orally. Can be seen, however, you live a day in the village. Today at the closing of the door, as long as there was bukete Nair. There Belal dariche up, there karajore dariye fell. . Lalu, such as to deprive him anything. Others, like the stretch dariye pawns.Belal returned home. Khayacche back home to see his mother, who starlings. How to play the mother-son while eating. They forgot a little bit before Belal. Heaven has come down to the little house. Belal longer be forgotten them had any idea. I remember talking to strengthen galo, her eyes like the hyenas, the clutches. Uthane green room and sat on the ground. He began to find ways to strengthen the poisonous bites lounger. Bilal
finds a way to do that, the last thing forefathers vitae leave the
ground, will be gone from the village or send nayare bautake. All were caught strengthen. The bar will be home, or home to save takei wife. Ekakula strengthen the river, and we anyakula, we just broke up and he claimed. Belal starlings who did not do anything. I do not claim to be. This is not new, and strengthening caoyata.Have you ever sat down and put on babuiyera mother that, how do you feel sad. any problem. Belal does not have to face. Or what to say, where to start. It's not nothing. Babuiyera have looked surprised at the mother.Babuiyera say what happened to the mother. Bilal, who hugged his wife. Cayala to say something, but them had any idea. He fled because he was not inside the house. Babuiyera mother went back and forth. Otherwise, even a stone churachuri Taltala already playing starlings.Lalu strengthen and walking, followed by four more coming, his faithful Lathiyala.Lalu joradara.Lalu Yes sir.When Bilal joradara bring his wife. What do you think?Teacher's Day tomorrow will be parasui lalu go, where to go.So a lot of work joradara.Lalu Yes sir, it came out that evening continues.Belal is as deep as the dark of night thinking. Bilal and his wife sleep will not come. Bilal, who still did not say anything to his wife.Babuiyera mother ballena nothing has happened yet.Belala bolaba What, you want to hear what happened. I was talking to strengthen today. Nayare you to go. Who is to say all the starlings were also seen. Then a deep sleep starlings another world. The palm tree has starlings from nesting. How to optimize how beautiful she was home made.
Belal was meant to cow out of the car. He knows that labor will be in vain. Because now he's a house. If you do not listen to strengthen wife isolation. 1 days when the wake-texture all his wife's house. After two days, the houses will burn, the ashes will. Will pise to the ground. It wants to be like her. Like his eyes, his taste has intensified abadhi not happen today. Yet he is not a man to sit. Belal was pulling the car. OnceBelal market was reached. No one is denying him in his rental car is not one. As if no stranger to the others. Do not speak to anyone for fear of strengthening Belal. Gafur and he walks.There are no cars just amaratai belala Ghafoor arato let's go.Gaphura forgive me, But you know all that trouble, why tempt her wear.Belala with such a big burden, how can go such a long way.Let me gaphura my thoughts. I went.Bilal returned with an empty car on the way home. On the way, he saw a child covered dhulibali. Self torn shirt and pants. Manik Ratan looted treasure-chest there is dhulikanaya. Although a little hard to recognize Nawab Bilal. Mataya Nawab Nawab's parents live in today, where she had fallen. Belal was remembered Nawab parents. Belal was pratibadi father. Once the market to strengthen the protest, did not give his judgment in a house fire on the law did not give up. Then the father Nawab was found.Nawab's mother came to meet Lalu lalu strengthening. Do you want to forgive him. Do you want your husband back. So at least some can be found on khabarato.Nawab mother go. I go, I will go, and went out to speak to strengthen phiralana. The house is now occupied by the royal Lalu. And now the whole world Nawab Nawab. Today the whole world in his address.Belal heard the sound of a horse strengthen extreme cut. Belal Home DeliveryAlready has. Strengthening the carriage in front of his house and saw Bilal. He quickly stepped back inside the house. Bilal saw the ball uthane strengthen his house.Belal joradara come home. Hello Did your wife or the wife, two khayabi home. Babuiyera shaky voice said from inside the mother rateya today, unable to finish the statement babuiyera mother. Belal legs are pleading to strengthen survive.Joradara lalure move it. Lalu says it's alright to strengthen saratei. Belal Well, you and I must be punished.Belala the Lord let me pretend, even to my Wife forgives.Lalure joradara. Lalu appeared before the call to strengthen.Tell lalu sire.Joradara Belal was delayed 1 day to his wife, he should be punished for it.Lalu - G hujuraekasata bar should be punished.What can be said joradara sentence?Master lalu nayarera baraye day period.Nare joradara amaraoto body to say. Bilal and my own people. Bay hasane so much compassion. What else can I say.Lalu began to scratch his head, is a little walk. Ditch the idea as a foreman in the village. Teacher found.Hey joradara ball, the ball quickly.Sir Belal bauta lalu you go home, he would take Bilal itself. He's in this sentence.There are still jajoradarera belala fell down. And the Lord is the Lord.Joradara justification kathaya all over your lucky day. No, you're on the move. Lalu said, pointing to strengthen the dariye lathiyaladera, Move OK. Bilal came and took away the Lathiyala to strengthen dariye behind. Belal came back strong to go away. Belal heard the saying. Ashish otherwise the right time, in my etho they love to eat. And they're playing with, but one sabaya eat. Not one. Then it went pretty awkward to enforce a smile on his face.
Evening came. Babuiyera father stayed dhuktei babuiyera 'mother,' he said starlings home phireni yet.Belala still playing somewhere in the back.Babuiyera mother crying out loud, he said, is to strengthen the balegela not remember in the morning. If they babuiyera, babuiyera digit heard her mother say.Why babui mother's mother's mother, and his mother came home crying. Babuiyera mother took jariye babuike chest. The mother is crying babuiyeraBabui Why are you crying, Mom, what happened to you. What you bakeche father.Your father and mother babuiyera parents may abuse me.Babui then why are you weeping.Babuiyera mother Today I will go sightseeing.Babui I'm kidding.Dad, you and your father's house will not babuiyera mother.Babui I go, I will go.Babuiyera mother if you do not be afraid of your father alone.You will be afraid if I do not babui alone. I will go.Belala your hands starlings.Babui starlings nesting parents.Belala you,Babui a big brother was going to throw at me when he gave respite. You know, Dad was the nest, the bird flies it was phurutha.And there was evening, night, night is deeper. Home of starlings already asleep wearing weaver.Babuiyera cow's mother came and sat in the car.Belala babuike break babuiyera take up arms. Belal lodged in her mother's lap in the beef babuike garite hurricane. To view or to see the road in front of the future. Who knows.Lathiyalara babuidera at home increased between. Taradekhala locked in the house. They went away laughing.What's lalu.Lathiyaladera ekajana belalara coming home had been locked out of the house. Lalu in nothing else left to say.Joradara drugs are waiting. He still has not come to see laluke Hello.Lalu Yes sir, and come in a bit.Wife is very nice, I can not let him go joradara Belal. Where is he, and where.Lalu Lord will come. There nesata take you down a bit. Otherwise, I do not find it fun.How far jaradara Lalu.Babui repeatedly ask how far away the father.And not so long you sleep, read belala parents.Babui your gara
Evening came. Babuiyera father stayed dhuktei babuiyera 'mother,' he said starlings home phireni yet.Belala still playing somewhere in the back.Babuiyera mother crying out loud, he said, is to strengthen the balegela not remember in the morning. If they babuiyera, babuiyera digit heard her mother say.Why babui mother's mother's mother, and his mother came home crying. Babuiyera mother took jariye babuike chest. The mother is crying babuiyeraBabui Why are you crying, Mom, what happened to you. What you bakeche father.Your father and mother babuiyera parents may abuse me.Babui then why are you weeping.Babuiyera mother Today I will go sightseeing.Babui I'm kidding.Dad, you and your father's house will not babuiyera mother.Babui I go, I will go.Babuiyera mother if you do not be afraid of your father alone.You will be afraid if I do not babui alone. I will go.Belala your hands starlings.Babui starlings nesting parents.Belala you,Babui a big brother was going to throw at me when he gave respite. You know, Dad was the nest, the bird flies it was phurutha.And there was evening, night, night is deeper. Home of starlings already asleep wearing weaver.Babuiyera cow's mother came and sat in the car.Belala babuike break babuiyera take up arms. Belal lodged in her mother's lap in the beef babuike garite hurricane. To view or to see the road in front of the future. Who knows.Lathiyalara babuidera at home increased between. Taradekhala locked in the house. They went away laughing.What's lalu.Lathiyaladera ekajana belalara coming home had been locked out of the house. Lalu in nothing else left to say.Joradara drugs are waiting. He still has not come to see laluke Hello.Lalu Yes sir, and come in a bit.Wife is very nice, I can not let him go joradara Belal. Where is he, and where.Lalu Lord will come. There nesata take you down a bit. Otherwise, I do not find it fun.How far jaradara Lalu.Babui repeatedly ask how far away the father.And not so long you sleep, read belala parents.Babui your gara
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন